যশোদাবেনকে পুলিশি বাধা! শাশুড়ির শেষকৃত্যে যেতে দেওয়া হয়নি মোদি পত্নীকে

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন বলেন, এই আচরণ এক মহিলার পক্ষে যথেষ্ট অপমানজনক। তবে এতে একটুও আশ্চর্য হইনি। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে কেউ জানতই না যে তাঁর স্ত্রী বর্তমান।

চেয়েছিলেন শাশুড়ির (Mother in Law) শেষকৃত্যে (Funeral) অংশ নিতে। কিন্তু তা গুজরাট পুলিশের (Gujrat Police) জন্য সম্ভব হয়নি। যতক্ষণ না প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করছেন, ততক্ষণ সপরিবার নিজের বাড়িতেই গৃহবন্দি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি পত্নী যশোদাবেন (Jashodaben)। সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মোদি পত্নী যশোদাবেন। আর তাঁর এমন অভিযোগে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। তিনি চেয়েছিলেন শেষবারের মতো একবার শাশুড়িকে নিজের চোখে দেখতে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হীরাবেন মোদির (Hiraben Modi) শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার ৬ দিন পর সর্বসমক্ষে তাঁর শাশুড়ির শেষযাত্রায় উপস্থিত না হতে পারার কারণ তুলে ধরেন যশোদাবেন ও তাঁর ভাই অশোক মোদি (Ashok Modi)। যশোদাবেন জানিয়েছেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব থাকলেও শাশুড়ি হীরাবেনের সঙ্গে ছিল সুসম্পর্ক। হীরাবেন অসুস্থ থাকাকালীন প্রায়ই তাঁর স্বাস্থ্যের খবর নিতেন যশোদা। আর হীরাবেনের মৃত্যুর খবরে রীতিমতো ভেঙে পড়েন তিনি ৷ ভাই অশোক মোদি ও তাঁর ভাইপো-ভাইজিদের নিয়ে গান্ধীনগর (Gandhinagar) যাওয়ার জন্য মনস্থির করেন যশোদাবেন। কিন্তু বাড়ির বাইরে পা রাখা মাত্র তাঁদের ঘিরে ধরে গুজরাট পুলিশের বিরাট বাহিনী। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, গান্ধীনগর যেতে পারবেন না যশোদাবেন। এই কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন যশোদা।

কেন তিনি শাশুড়ির শেষযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন না পুলিশকে এই প্রশ্ন করা হলে এই প্রশ্নের জবাবে এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, উপর মহল থেকে তাঁদের কাছে নির্দেশ এসেছে। এর বেশি তাঁরা কিছুই জানেন না। এরপর পুলিশের কাছে বহু অনুনয়-বিনয় করেন যশোদাবেন, কিন্তু তাতেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। এরপর প্রায় সারাদিন নিজের ঘরেই নজরবন্দি ছিলেন যশোদাবেন। টিভিতেই শাশুড়ির অন্তিমযাত্রা দেখেন।

যশোদাবেনের এই অভিযোগের পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিরোধী শিবিরে৷ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন (Dola Sen) বলেন, এই আচরণ এক মহিলার পক্ষে যথেষ্ট অপমানজনক। তবে এতে একটুও আশ্চর্য হইনি। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে কেউ জানতই না যে তাঁর স্ত্রী বর্তমান। কোনওদিন স্ত্রী হিসেবে তাঁকে স্বীকৃতি দেননি মোদি। কিন্তু স্ত্রী বর্তমান থাকা সত্ত্বেও তাঁর প্রতি এই অবমাননা মেনে নেওয়া যায় না। এর তীব্র নিন্দা জানাই। অন্যদিকে বর্ষীয়ান কংগ্রেস সাংসদ ও প্রদীপ ভট্টাচার্য (Pradip Bhattacharya) বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কারও ব্যক্তিগত বা পারিবারিক জীবন নিয়ে কিছু মন্তব্য করা উচিত নয়, কিন্তু এই ঘটনা যদি সত্যি হয় তবে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমন আচরণ আশা করা যায় না।

 

 

Previous articleপিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠির বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করল এসিসি
Next articleমাঠ ভরতি মানুষের মাঝে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান, কুণালের পাল্টা নববর্ষের শুভেচ্ছা