SSC Recruitment : ৫১ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ !

নিয়োগ দুর্নীতি বিতর্কের মাঝেই এবার চাকরিপ্রার্থীদের (Job Seekers)জন্য সুখবর। আজ বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে অযোগ্যদের চাকরি বাতিলের পর, ৫১ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (Board of Secondary Education)। ১১ই জানুয়ারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়।নথিপত্রের সমস্যা থাকার কারণে ৪ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। অর্থাৎ আজ মোট ৪৭ জন নিয়োগপত্র পেলেন।পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, যে ৪ জন নিয়োগপত্র পেলেন না তাঁদের মধ্যে ২ জনের জাতিগত শংসাপত্রে সমস্যা রয়েছে। বাকি ২ চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে একজনের বি. এড সার্টিফিকেটে সমস্যা রয়েছে এবং  অন্যজনের ভিন রাজ্যের কলেজের বিএড সার্টিফিকেট রয়েছে । এই চারজনের সার্টিফিকেট আবার খতিয়ে দেখা হবে। তারপরই তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে বলে পর্ষদ সূত্রে খবর।

কোভিড কালে ১০২ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া ঘিরে বিতর্ক বাড়ে। মেধাতালিকায় নাম না থাকা বা অনেক নিচে নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁরা কী করে চাকরি পেল তাই নিয়ে একাধিক অভিযোগ ওঠে। রহস্য আরও বাড়ে যখন দেখা যায় চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেয়েও কেউই চাকরিতে জোগদান করেন নি। বেআইনিভাবে বাড়তি এক নম্বর করে দেওয়ার পাশাপাশি ফেল করে, এমনকি পরীক্ষা না দিয়ে, ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ সামনে আসে। গত বছরের জুন মাস নাগাদ সেই সব প্রাথমিক শিক্ষককে বরখাস্ত ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। এরপর তাঁরা ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করলেও জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল থাকে। তবে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে সর্বোচ্চ আদালত ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। এর মাঝে এই নিয়োগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্তে খুশি চাকরিপ্রার্থীরা। পর্ষদের তরফে প্রার্থীদের সুপারিশ পত্র, গ্র্যাজুয়েশনের সার্টিফিকেট ও মার্কশিটের কপি, বিএডের মার্কশিট ও সার্টিফিকেটের কপি, জন্মের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, অ্যাডমিট কার্ড, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, কাস্ট সার্টিফিকেট থাকলে তার কপি এবং ২ কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রমাণ হিসেবে আনতে বলা হয়। ৬৫ জনকে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু ইতিমধ্যে ১৪ জন কলেজ এবং অন্যত্র অপেক্ষাকৃত উচ্চ পদে চাকরি পেয়েছেন। তাই তাঁরা স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি নিচ্ছেন না।

Previous articleযোগীরাজ্যে পাথর ছুড়ে ভাঙা হল কলকাতা-হাওড়াগামী দুটি রাজধানী এক্সপ্রেসের ১৪টি জানালা
Next articleকলকাতায় গঙ্গারতির প্রস্তুতি বিবেকানন্দের জন্মতিথিতেই, ঘোষণা মমতার