অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ নেওয়া আর হল না! মাঝ আকাশেই স্বপ্নভঙ্গ নেপালে যাওয়া ৪ ভারতীয় যুবকের

ইচ্ছে ছিল পোখরায় প্যারাগ্লাইডিং করার। গাড়িতে গোটা রাস্তায় চার ভারতীয় যুবক মিলে সেই পরিকল্পনা করতে করতে এসেছিলেন।মশগুল ছিলেন অ্যাডভেঞ্চারের আলোচনায়। কিন্তু স্বপ্নপূরণের আগেই সব শেষ।রবিবার সকালেই নেপালের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ওই চার যুবকের।

আরও পড়ুন:মৃ*ত্যু নিশ্চিত জেনেও নেপালের বিমান দুর্ঘটনার ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করেন ভারতীয় যাত্রী! দেখুন সেই ভিডিয়ো
যে গাড়িতে ওই ৪ ভারতীয় যুবক নেপালে এসেছিলেন, তাতে সওয়ার ছিলেন নেপালেরই এক যুবক। তিনিই জানিয়েছেন একথা।জানান, গোটা রাস্তাটাই ওই চার জন পরিকল্পনা করতে করতে এসেছিলেন পোখরার প্যারাগ্লাইডিং করার বিষয়ে। গত শুক্রবার ওই চার যুবকের সঙ্গে নেপালের কাঠমান্ডু এসে পৌঁছন নেপালের বাসিন্দা অজয়কুমার শাহ। তিনি দক্ষিণ নেপালের সারলাহি জেলার বাসিন্দা। অজয় জানিয়েছেন, একই গাড়িতে আসায় যাত্রাপথে আলাপ হয়েছিল ওই দলটির সঙ্গে। অজয়কে নিজেদের বেড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা।

রবিবার সকালের বিমান দুর্ঘটনায় রাত পর্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি, ওই বিমানের পাঁচ ভারতীয় যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে কি না। নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, এঁদের নাম— অভিষেক কুশওয়াহা (২৫), বিশাল শর্মা (২২), অনিল কুমার রাজভর (২৭), সোনু জয়সওয়াল (৩৫) এবং সঞ্জয় জয়সওয়াল। এঁদের মধ্যেই ছিলেন ওই চার জন।


অজয় জানিয়েছেন, শুক্রবার এসে পশুপতিনাথ মন্দিরের কাছেই গৌশালায় ছিল দলটি। তার পর একটি হোটেলে চলে যায় তারা। সেখান থেকেই রবিবার রওনা হয় পোখরার উদ্দেশে। পোখরায় প্যারাগ্লাইডিং করে গোরক্ষপুর হয়ে দেশে ফেরার কথা ছিল তাদের। অজয় বলেছেন, ওই দলটিতে বয়সে সবচেয়ে বড় ছিলেন যিনি, তাঁর নাম সোনু। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে।কয়েকদিন আগেই বাবা হয়েছেন তিনি। তাই পুজো দিতে পশুপতিনাথের মন্দিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।

Previous article৯০০ কিলোমিটার দূরত্বে থেকেও একই সময়ে রহস্য মৃত্যু যমজ ভাইয়ের
Next articleব্যাট হাতে বিজেপি বিধায়ক, বল হাতে ছুটছেন তৃণমূল নেতা! খেলার মাঠে সৌজন্যের নজির