আদানি ইস্যুতে সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে সংসদে এককাট্টা বিরোধীরা

আমেরিকার গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের (Hindenburg Research) রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। করফাঁকি থেকে কারচুপি, এমনকি জালিয়াতির অভিযোগও উঠে এসেছে মোদি ঘনিষ্ঠ আদানি গোষ্ঠীর(Adanai Group) বিরুদ্ধে। মানুষের টাকা এভাবে ঝুঁকির মুখে পড়ায় সরকারকে চাপে ফেলতে এবার আদানি ইস্যুতে এককাট্টা হল বিরোধীরা। সংসদের রণকৌশল ঠিক করতে প্রায় ৪ বছর পর কংগ্রেসের ডাকা বিরোধী দলের বৈঠকে উপস্থিত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়(Sudip Banerjee) এবং রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন(Derek O’braine)।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে বৈঠক করে ২০টির বেশি বিরোধী দল। সংসদের দুই কক্ষকে কাজে লাগিয়ে আদানির বিষয়টিকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে বিরোধী শিবির। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপন হোক বা বাজেট বিতর্ক বিষয়টি তুলে ধরার সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না বিরোধীরা। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ডেরেক ও ব্রায়েন এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান মল্লিকার্জুন খাড়গে। তৃণমূল ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিল কংগ্রেস, ডিএমকে, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, জেডিইউ, শিবসেনা, সিপিএম, সিপিআই, এনসিপি, আম আদমি পার্টি, ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কেরল কংগ্রেস। আদানি নিয়ে কংগ্রেসের তরফে যৌথ সংসদীয় তদন্তের দাবি জানানো হলেও, তাতে রাজি নয় তৃণমূল। সকালের বৈঠকের পর সভা মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পর রাজ্যসভায় ঘরোয়াভাবে আলোচনা করে তৃণমূল, ডিএমকে, আপ এবং কংগ্রেস। সেখানেও আগামী সপ্তাহে বিরোধী শিবিরের রণকৌশল নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়। সোম, মঙ্গল এবং বুধবার চলবে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপন। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার বাজেট নিয়ে আলোচনা শুরু করতে চায় বিরোধীরা। তৃণমূলের তরফে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপন ভাষণ দেওয়ার কথা লোকসভায় মহুয়া মৈত্র ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের । রাজ্যসভায় ডেরেক ও ব্রায়েন এবং জহর সরকারের । বাজেট নিয়ে তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভায় বক্তা সুখেন্দেুশেখর রায় রায়, নাদিমূল হক, শান্তা ছেত্রী, জহর সরকার, এবং ডেরেক ও ব্রায়েন, লোকসভায় বাজেট নিয়ে তৃণমূলের বক্তা সৌগত রায় এবং কাকলি ঘোষদস্তিদার।

বিরোধীদের তরফে বলা হচ্ছে, সাধারণ মানুষের টাকাকে বিপজ্জ্নক জায়গায় ফেলে দেওয়ার জন্য অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, ” এই বিপুল পরিমাণ দুর্নীতি নিয়ে সংসদের উভয়কক্ষে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “বিভিন্ন দলের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। তবে এই বিরাট দুর্নীতি সামনে আনার বিষয়ে সমস্ত দল একমত।” সেই কারণেই কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয় এবং বৈঠকে হাজিরা বলে তৃণমূল সূত্রের দাবি।

Previous articleবিধায়কের হাওয়ালা-যোগ! নওশাদকে হেফাজতে চায় লেদার কমপ্লেক্স থানা, কুণালের নিশানায় বাম-কংগ্রেস
Next articleফের মালদহে উদ্ধার ৩৩ লক্ষ নগদ, শ্যালকের টাকা রেখে জালে ২ ভগ্নিপতি