গুজরাটে সরকারি চাকরির প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছে বিজেপি সরকার। বারবার রাজ্যে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সরব হয় বিরোধীরা। একাধিক ছাত্র ও যুব সংগঠন এবং নাগরিক সমাজ কঠোর আইন তৈরির দাবি তোলে।তারপরই প্রশ্ন ফাঁস রুখতে কঠোর আইন চালু করতে চলেছেন রাজ্যের বিজেপি সরকার। এমনকি এই অপরাধে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন সাজাও হতে পারে ।
গত রবিবার ছিল গুজরাতে পঞ্চায়েত কর্মী নিয়োগ বোর্ডের পরীক্ষা। সাড়ে নয় লাখ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা হলে পৌঁছনোর মুখে জানতে পারেন প্রশ্ন ফাঁসের জেরে বাতিল হয়েছে পরীক্ষা। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। অনেকেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় সেদিনের পরীক্ষার প্রশ্নও।
তবে শুধু রবিবারই নয়, এর আগেও বহুবার বিজেপি শাসিত গুজরাটে একাধিকবার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। আর বারবার মুখ পুড়েছে বিজেপির। ক্ষোভ বেড়েছে যুবক-যুবতীদের। তাই এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টায় নেমেছে গুজরাট সরকার। মন্ত্রী ঋষিকেশ প্যাটেল জানিয়েছেন, গুজরাট বিধানসভার চলতি বাজেট অধিবেশনে এই আইন তৈরির লক্ষ্যে বিল পেশ করা হবে।গুজরাট প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশ্ন ফাঁসকারীদের সাজার বিধান নিয়ে অফিসারেরা আইন দফতরের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন।
গত রবিবার জুনিয়র ক্লার্ক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবর পাওয়া মাত্রই গুজরাট পুলিশের গোয়েন্দা শাখা তদন্ত শুরু করেছে। সরকার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা বাতিল করে দেয়। একাধিক ছাত্র ও যুব সংগঠনের ক্ষোভের মুখে পড়ে বিজেপি সরকার। তারপরই আইন আনার চাবনা নিল তারা।