জিজ্ঞাসাবাদে বাধা নেই, আগামী ৬ দিন লেদার কমপ্লেক্স থানাই ঠিকানা নওশাদের

নওশাদের মোবাইল ফোন থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। খোঁজ মিলেছে হাওয়ালা যোগেরও। এছাড়াও বিজেপির এক সর্ব ভারতীয় নেতার সঙ্গে কথোপকথনের একাধিক চ্যাট তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে। ইতিমধ্যে নওশাদের দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (Production Warrant) চেয়ে বৃহস্পতিবারই বারুইপুর আদালতে (Baruipur Court) আবেদন করেছিল কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা (Kolkata Leather Complex Police Station)। আর সেইমতো শুক্রবার সকালে আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Naushad Siddiqui) বারুইপুর আদালতে (Baruipur Court) তোলা হলে তাঁকে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে নওশাদকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কোনও বাধা রইল না কেএলসি (KLC) থানার পুলিশ আধিকারিকদের।

উল্লেখ্য, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় গোলমালের ঘটনায় এফআইআরে (FIR) নাম রয়েছে ভাঙড়ের আইএফএস বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। ৩০৭ সহ একাধিক ধারায় আইএসএফ বিধায়কের বিরুদ্ধে রুজু হয়েছে মামলা। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ নওশাদকে নিয়ে যাওয়া হয় বারুইপুর আদালতে। তবে ধর্মতলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নওশাদকে। এরই ময়দানে নামে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা। গত ২১ জানুয়ারি ভাঙড়ের হাতিশালায় মারামারি, দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর-সহ তৃণমূল নেতা জুলফিকার মোল্লার উপরে আক্রমণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার নওশাদকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে বারুইপুর আদালতের দ্বারস্থ হন কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। শুক্রবার সকালে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে নওশাদকে বারুইপুর মহাকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।

পাশাপাশি নওশাদের মোবাইল ফোন থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। খোঁজ মিলেছে হাওয়ালা যোগেরও। এছাড়াও বিজেপির এক সর্ব ভারতীয় নেতার সঙ্গে কথোপকথনের একাধিক চ্যাট তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে। ইতিমধ্যে নওশাদের দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এমনকী নির্বাচন কমিশনের কাকে কোথায় সরাতে হবে, তা নিয়েও পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

তবে শুক্রবার সকালে নওশাদ বারুইপুর আদালতে বলেন, ব্যাপক চক্রান্ত চলছে। আমি রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার। যদিও এদিন নওশাদের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তিনি সাফ জানান, যারা গোটা বাংলায় বামেদের সঙ্গে জোট করে একটা মাত্র আসন পেয়েছে, তাদের নিয়ে তৃণমূল ভাববে? যারা বাংলায় ২১৭-১৮ আসন পেয়েছে তারা একটা সিট কে কোথায় পেয়েছে তা নিয়ে ভাববে? এগুলো গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল অবস্থা।

 

 

Previous articleঝাড়খণ্ডকে দুরমুশ করে রঞ্জি ট্রফির শেষ চারে বাংলা
Next articleমেঘালয় নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী জ*ঙ্গি নেতা!