আদানি ইস্যুতে সংসদে(Parliament) সরকারকে চাপে ফেলতে কোনও কসুর করছে না বিরোধীরা। এবার শিল্পপতি গৌতম আদানিকে গ্রেফতারের দাবিতে সংসদে জোর আওয়াজ তুলল তৃণমূল(TMC)। সংসদে বক্তব্য রাখতে উঠে আদানি গ্রেফতারি দাবি তুললেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়(Kalyan Banerjee)। এছাড়াও সংসদের কেন্দ্রের কাছে বকেয়া আদায়ের দাবিতেও সরব হল ঘাসফুল শিবির।
মঙ্গলবার লোকসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) বলেন, “আমরা একাধিক বার বলেছি। আমাদের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন। বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে ২ লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। নানা অজুহাতে তা দেওয়া হচ্ছে না। বাংলা থেকে বিজেপি-র সাংসদ যাঁরা, তাঁরা বাঙালি বিরোধী। তাঁরা চান না, বাংলার উন্নতি হোক, বাংলা গিয়ে আসুক। বামলাকে আটকাতে এ সব করছেন। পরিকাঠামো খাতে, ১০০ দিনের কাজে, উন্নয়নে, নারীকল্যাণে শূন্য মিলেছে কেন্দ্রের কাছ থেকে। ওঁদের কাছে প্রচারই হিরো, বাকি সব জিরো।”
আদানি গোষ্ঠীকে ঘিরে থাকা ভূরি ভূরি অভিযোগ নিয়ে কল্যাণ বলেন, “আর্থিক দুর্নীতির স্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কেন ইডি-কে তদন্ত করতে বলা হচ্ছে না ? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি শুধুমাত্র বিরোধীদের ক্ষেত্রে সক্রিয় হতে দেখা যায়।” আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান, গৌতম আদানিকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবিও তোলেন কল্যাণ।
তৃণমূলের পাশাপাশি আদানি ইস্যুতে সংসদে জোড় আওয়াজ তুলতে দেখা যায় কংগ্রেসকেও। রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপরে ধন্যবাদজ্ঞাপন পর্বের আলোচনায় সম্মত হন বিরোধীরা। আর বিতর্কের সময়ই আদানি প্রসঙ্গ তুলে ধরার কৌশল নেয় কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। এ দিনও মল্লিকার্জুন খড়্গের ডাকে বিরোধী দলগুলির বৈঠক হয়। অবশ্য সেই বৈঠকে উপস্থিত হয়নি তৃণমূল।
আরও পড়ুন- কলকাতা বইমেলায় বাংলা পক্ষর বই “যা বাংলার, তা বাঙালির”