কৃষকদের জন্য ‘দরাজ’ রাজ্য, কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়াই ‘কৃষকবন্ধু’তে রেকর্ড সাহায্য ঘোষণা

বৃহস্পতিবারই হাওড়ার পাঁচলায় সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বারবার বলেন, একাধিকবার কেন্দ্রের কাছে টাকা চেয়েও লাভের লাভ কিছুই হয়নি।

নজিরবিহীনভাবে বাংলার কৃষকদের (Farmers) আয় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সারা দেশে রীতিমতো দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এবার কৃষকদের আরও উৎসাহিত করতে বড়সড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনওরকম সাহায্য ছাড়াই নিজস্ব তহবিল থেকে কৃষকবন্ধু প্রকল্পে (Krishak Bandhu Project) সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য দিল রাজ্য। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাজ্যের বকেয়া টাকা নিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রের কাছে দরবার করলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে রাজ্যের সমস্ত প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু তাতে একেবারেই দমেননি মুখ্যমন্ত্রী। উল্টে কৃষকদের দুহাত ভরে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে বৃহস্পতিবারই হাওড়ার পাঁচলায় (Howrah Panchla) সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বারবার বলেন, একাধিকবার কেন্দ্রের কাছে টাকা চেয়েও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। আমাদের যেটুকু আছে সবটুকু দিয়ে বাংলার উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের পাশে থাকব।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, ২০১৮-১৯ সালে ৩৮.৮১ লক্ষ কৃষককে ৬০১.৪৯ কোটি টাকা সাহায্য করা হয়েছিল। এরপর ২০১৯-২০ সালে ৪৪.২৬ লক্ষ কৃষক পান ১৩৫৩.৮৬ কোটি টাকা। ২০২০-২১ সালে ৫৯.০৩ লক্ষ কৃষক পান ১৫৬৫.৯৪ কোটি টাকা। ২০২১-২২ সালে ৭৭.৮৯ লক্ষ কৃষককে দেওয়া হয় ৪০৪০.১৯ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবর্ষে ৯১ লক্ষেরও বেশি কৃষককে ২,৫৫৫ কোটি টাকা দেওয়ার পদক্ষেপ করা হয়েছে।

নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে প্রায় ৯০ লক্ষ কৃষকের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে গিয়েছে। কৃষি দফতর সূত্রে খবর, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত কৃষকবন্ধু প্রকল্পে রাজ্যক সরকার খরচ করেছে ৪৯৫০.২৪ কোটি টাকা অর্থাৎ গত চার বছরে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ সাহায্য পেয়েছেন কৃষকবন্ধুরা। তবে মার্চ পর্যন্ত সাহায্য প্রাপক কৃষকের সংখ্যা ৯২ লক্ষে গিয়ে পৌঁছবে। এখানেই নরেন্দ্র মোদির পিএম কিষাণ যোজনাকে টেক্কা দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষকবন্ধু। কারণ, পিএম কিষাণ প্রকল্পের সুবিধা পায় এ রাজ্যের মাত্র ৪৩ লক্ষ কৃষক। যা কৃষকবন্ধুর অর্ধেকেরও কম।

 

 

Previous articleদ্রুততম ভারতীয় বোলার হিসাবে টেস্টে ৪৫০ উইকেট অশ্বিনের, দুরন্ত প্রত‍্যাবর্তন জাড্ডুর
Next articleপ্রেমদিবসেও থাকবে আলতো শীতের ছোঁয়া