বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন প্রাক্তন মুক্তিযোদ্ধা মহম্মদ সাহাবুদ্দিন

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন মহম্মদ সাহাবুদ্দিন । প্রধানমন্ত্রী তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

বিশেষ সংবাদদাতা, ঢাকা : বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। আজ রবিবার সকালে তাকে নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দফতরে যান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন মহম্মদ সাহাবুদ্দিন । প্রধানমন্ত্রী তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

প্রাক্তন মুক্তিযোদ্ধা তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিক সাহাবুদ্দিন আপাতত বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লিগের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তিনি একই সঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি। একটা সময়ে ‘দুদক’-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন। দলীয় প্রার্থী হিসাবে রবিবার সাহাবুদ্দিনের নাম নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেন আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রবীণ রাজনীতিক সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ‘আস্থাভাজন’ বলেই পরিচিত।চলতি বছরের শেষে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। সে দিক থেকে দেশের রাষ্ট্রপতি পদটি গুরুত্ব এবং তাৎপর্যের বিচারে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে।

মহম্মদ সাহাবুদ্দিনের জন্ম পাবনায়, ১৯৪৯ সালে। তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি। এরপর ১৯৮২ সালে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন। ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত মহম্মদ সাহাবুদ্দিন দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাঙ্ক বাংলাদেশ লিমিটেডের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। এখন তিনি ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিরোধী বিএনপির দাবি, হাসিনার সরকার ভোটের ছ’মাস আগে পদত্যাগ করুক। তার পর ভোট হোক ‘নিরপেক্ষ’ সরকারের অধীনে। সেই প্রেক্ষিতে সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাহাবুদ্দিন সম্পর্কে বলা হয়, তিনি আওয়ামী লিগের সর্বময় নেত্রী তথা প্রধানমন্ত্রীর ‘আস্থাভাজন’ তো বটেই, প্রাক্তন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। প্রাক্তন বিচারপতি হওয়ায় আইন এবং সংবিধান সম্পর্কেও সাহাবুদ্দিনের সম্যক অভিজ্ঞতা রয়েছে।

 

 

 

Previous article‘ব্যতিক্রমী’ বিয়ে
Next articleEntertainment : রবিবারেই রাজকীয় রিসেপশন সিড-কিয়ারার, ‘SOTY’- রিইউনিয়নের আশায় বলিউড !