ছাত্র যুবদের উন্নতির কথা সবসময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) গলায় শোনা যায়। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া (Purulia) দেখল হুটমুড়া ময়দানে দিদির কথা শুনতে পড়ুয়াদের উপচে পড়া ভিড়। মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে অসংখ্য ছাত্রছাত্রী হাজির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একেকটা বক্তব্যের পরে হাততালিতে ফেটে পড়ছিল মঞ্চের চারপাশ। এক কথায় স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দে সামিল পুরুলিয়ার পড়ুয়ারা।

শিক্ষাক্ষেত্রে কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, বিভিন্ন স্কলারশিপ চালু করে দিদি যে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত স্বপ্নকে উসকে দিয়েছেন। মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীও বললেন, পুরুলিয়ার ছেলেমেয়েরা ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়র হবে, প্রশাসক হবে, তবেই তো সাফল্য।তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের গর্বের সঙ্গে বলতে হবে, আমি বাংলার বাসিন্দা, আমি অমুক জেলার বাসিন্দা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী যেসব পরিষেবা দিয়েছেন তার মধ্যে ছিল ছাত্রছাত্রীদের জন্য একগুচ্ছ আয়োজন। দেওয়া হয়েছে সবুজ সাথীর সাইকেল, কন্যাশ্রী। খেলাধুলায় বিশেষ সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । পিছিয়ে ছিলেন না মহিলারাও। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন ষাট বছর বয়স হলেই মহিলাদের লক্ষীর ভান্ডার পাওয়া বন্ধ হবে না। ষাট বছর হলে তারপর থেকে তারা মাসিক একহাজার টাকা বার্ধক্যভাতা পাবেন। তাঁর বক্তব্যের মাঝেই হাততালির ঝড় ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন ছাত্র, যুব, মহিলাদের অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা এগিয়ে দেয় সমাজকে। বাংলার সেই স্বপ্ন পূরণ করবেন তিনি।
