খাসি-গারো ভাষাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ব: মেঘালয়ে বার্তা অভিষেকের

মেঘালয় রাজ্যের মানুষের ভাষা খাসি(Khasi) ও গারোকে(Garo) রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবিতে সংসদে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব তৃণমূল(TMC)। শনিবার মেঘালয়ের(Meghalaya) খাসি হিলসে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এই ইস্যুকে তুলে ধরলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhisekh Banerjee)। জানালেন, খাসি-গারো ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম অনুচ্ছেদের অন্তর্ভুক্ত করতে শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে লড়াই করবে তৃণমূল।

শনিবার মেঘালয়ের খাসি হিলসের মাইলিয়ামের উমলিংকায় তৃণমূলের জনসভায় উপস্থিত হয়ে এনপিপি সরকারকে তোপ দাগার পাশাপাশি মেঘালয়ের ভবিষ্যৎ সঠিক পথে চালিত করার আবেদন জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “গোটা দেশের মধ্যে মেঘালয় এমন একটি রাজ্য যেখানে কোনও মেডিক্যাল কলেজ নেই।” এরপর বাংলার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “শুনলে খুশি হবেন বাংলায় ২৩ জেলা, এবং ২৩ টি মেডিক্যাল কলেজ। এখানে ১২ জেলা প্রতিটি জেলায় অন্তত একটা মেডিক্যাল কলেজ হওয়া উচিত।” একইসঙ্গে এনপিপি সরকারকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “অসম পুলিশের গুলিতে মেঘালয়ের ৫ জন কৃষক মারা গেল। কেন মুখ্যমন্ত্রী কোনও তদন্ত করলেন না? তদন্ত ছাড়ুন কেন একটা নোটিস দেওয়া হল না। কারণ উনি দিল্লি ও গুয়াহাটির কাছে নিজের শিরদাড়া বিক্রি করেছেন। উনি জানেন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হলে ওনার বাড়িতে ইডি-সিবিআই নোটিস পাঠাবে। আপনারা কি এই পুতুল সরকার চান। না এমন কাউকে চান যে আপনাদের জন্য লড়াই করবে?” বাংলার উদাহরণ টেনে তিনি আরও বলেন, “মেঘালয়ের মতো বাংলাতেও একাধিক রাজ্যের বোর্ডার রয়েছে কিন্তু কারও ক্ষমতা নেই গুলি চালাবে। কারণ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়েও এমন কাউকে দরকার যার শিরদাড়া শক্ত। যে এখানের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করবে।”

এছাড়াও মাঘালয়ের মানুষের ভাষা খাসি ও গারোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবি তুলে অভিষেক বলেন, “এতদিন মেঘালয়ের মানুষের মাতৃভাষা খাসি ও গারোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দেওয়ার দাবি এখানকার কোনও সাংসদ তোলেনি। কিন্তু আমরা সংসদে একাধিকবার এই দাবিতে সরব হয়েছি। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি। ক্ষমতায় এলে মেঘালয়ের খাসি-গারো ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম অনুচ্ছেদের অন্তর্ভুক্ত করতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ে যাবে তৃণমূল।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “আগামী ২৭ তারিখ ভোট দেওয়ার সময় মাথায় রাখবেন আপনারা শুধু দুর্নীতিগ্রস্থ এনপিপিকে ছুড়ে ফেলে দিতে ভোট দেবেন না, আপনারা ভোট দেবেন আগামী ৫ বছর মেঘালয়ের ভবিষ্যৎ নির্ধারন করতে, মেঘালয়কে উন্নয়নের শিখরে পৌছতে, এই রাজ্যের হারানো গৌরব ফেরাতে, পুতুল সরকার নয় একজন সত্যিকারের লড়াকু নেতাকে শাসকের আসনে বসাতে। মনে রাখবেন কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার অর্থ বিজেপিকে ভোট দেওয়া এনপিপিকে ভোট দেওয়া বিজেপিকে ভোট দেওয়া। ওরা এতদিন আপনাদের বোকা বানিয়েছে, এখন সময় এসেছে ওদের বোকা বানানোর ওদের দেখানো পথেই।” একইসঙ্গে সঙ্গে অভিষেক এটাও জানান, মাই কার্ড ও উইকার্ড সহ তৃণমূল ইস্তেহারে যে ১০ প্রতিশ্রুতির কথা বলেছে ক্ষমতায় আসার ৩ মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়িত করব আমরা।

Previous articleশিক্ষা দু*র্নীতি নিয়ে ডাবল ইঞ্জিন যোগী রাজ্যে রেইড! কেন্দ্রের শিক্ষামন্ত্রীকে তোপ কুণালের
Next articleEntertainment : মৃণাল সেনের অবিকল ‘পদাতিক’-এর চঞ্চল, ভাই*রাল নতুন লুক!