প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নী*তি মামলায় এবার সিবিআই-ইডি যৌথ তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার সিবিআই-ইডি যৌথ তদন্তের নির্দেশ আদালতের। ২০১৪-র টেটের ভিত্তিতে ২০২০-তে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত করবে সিবিআই-ইডি। কীভাবে পর্ষদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দ্বায়িত্ব এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে দেওয়া হল, তা খতিয়ে দেখবে সিবিআই ও ইডি।

এরই পাশাপাশি, হাইকোর্টের আরও নির্দেশ, নতুন করে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে হবে ওই দুই সংস্থাকে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কীভাবে তাদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব একটি বেসরকারি কোম্পানিকে দিয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে সিবিআই এবং ইডিকে। এর জন্যই প্রয়োজনে হলে তদন্তকারী সংস্থাকে নতুন করে এফআইআর করতে বলেছে আদালত। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করার বরাত পেয়েছিল ওই বেসরকারি সংস্থাটি।

এর আগে পর্ষদের একাধিক অফিসার আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে জানিয়েছিলেন, পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ওই সংস্থাকে নিয়োগ করেছিলেন। এই সংস্থাকে কনফিডেন্সিয়াল সেকশন বলেও অভিহিত করা হয়েছিল। আদালত এদিন বলে, পর্ষদের তখনকার যে অ্যাডহক কমিটি ছিল, সেইকমিটির সদস্যদেরও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিবিআইকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। প্রয়োজন হলে ওই সদস্যদের হেফাজতেও নিতে পারবে সিবিআই। তবে ওই কমিটিতে ৮০ বছরের প্রবীণ এক মহিলা রয়েছেন। তাঁকে হেফাজতে নেওয়া যাবে না।

এই মামলায় এদিন ইডিকেও যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। বলা হয়েছে সিবিআই এবং ইডি নিজেদের মধ্যে তথ্যের আদান প্রদান করবে। ইডির তদন্ত আদালতের নজরদারিতে হবে না। সিবিআইয়ের সিটই তদন্ত করবে। দুই সংস্থাকেই ২০ এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করতে হবে।মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ এপ্রিল।

 

Previous article৬ মাসের সংগঠনে ১৫ শতাংশ ভোট: তৃণমূলের সাফল্যে মেঘালয়বাসীকে ধন্যবাদ মমতার
Next articleদ্বিতীয় দিনে ১৬৩ রানে শেষ ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস , অজিদের জয়ের জন‍্য দরকার ৭৬ রান