আজই নতুন চড়িয়াল ব্রিজের উদ্বোধন করবেন অভিষেক, এক নজরে সেতুর হাল হকিকৎ

বজবজ পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত বলেন, গঙ্গাসাগর মেলার জন্য জেলা প্রশাসন এদিকে সময় দিতে পারেনি। ডিসেম্বরে এই কাজ শেষ হলেও তার উদ্বোধন করা যায়নি। মেলা শেষ হলে প্রশাসন ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে সেতু উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়।

বজবজের গুরুত্বপূর্ণ চড়িয়াল মোড়ে যানজট ছিল নিত্যসঙ্গী। কারণ সরু রাস্তা, আর প্রচুর যান চলাচল। এবার সেই যন্ত্রণার কিছুটা অবসান হতে চলেছে। শুক্রবারই নবনির্মিত চড়িয়াল সেতুর উদ্বোধন করবেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। তাঁর তৎপরতায় নতুন করে সেতু তৈরির পরিকল্পনা হয়।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক চড়িয়াল সেতুর হাল হকিকৎ

•নতুন সেতু লম্বা ১২৮ ফুট, চওড়া সাড়ে ২৪ ফুট, ফুটপাও ৫ ফুট।

•চড়িয়াল খালের উপর এই সেতুটি বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের উপর।

•এই সেতু নির্মাণে ৫২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

•সেতু তৈরির জন্য কেএমডিএ দিয়েছে ১৭ কোটি টাকা। সিইএসসি দিয়েছে এক কোটি। আর জমি বাবদ ক্ষতিপূরণ ও দোকান সরানোর জন্য ৩৩ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার।

বজবজ তল্লাটে বড় বড় কারখানা থাকায় চলে প্রচুর ভারী যান চলাচল করে। চড়িয়াল (Chorial) খালের এক প্রান্তে তিন রাস্তার মুখ। তিনদিকে গাড়ি চলাচলে ব্যাপক যানজট হয়। কারণ ওই অংশে রাস্তা সরু। তার মধ্যে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে অটো। এ নিয়ে অনেকদিন ধরে স্থানীয়রা অভিযোগ জানিয়েছেন। স্থানীয় মানুষ ও ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে, ২০১৯ সালে এই সেতুর জন্য জমি অধিগ্রহণ, দোকান সরানো থেকে প্রয়োজনীয় কাজ শুরু হয়। কিন্তু কোভিডের জন্য এক থেকে দেড় বছরের বেশি কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বজবজ পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত (Goutam Dasgupta) বলেন, গঙ্গাসাগর মেলার জন্য জেলা প্রশাসন এদিকে সময় দিতে পারেনি। ডিসেম্বরে এই কাজ শেষ হলেও তার উদ্বোধন করা যায়নি। মেলা শেষ হলে প্রশাসন ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে সেতু উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। নতুন সেতু চালু হয়ে যাওয়ার পর পুরনো সেতুটি ভেঙে ফেলা হবে। পরে সেটিও আবার নির্মাণ করা হবে। দুটো সেতু চালু হয়ে গেলে এলাকায় যান চলাচল একেবারেই মিটে যাবে বলে আশা স্থানীয়দের।

 

 

Previous articleহ্যাট্রিক! তৃতীয় বার চিনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার নজির গড়লেন জিনপিং
Next articleঅনুব্রতর মুখোমুখি এবার কন্যা সুকন্যাকে বসাতে চায় ইডি