ত্রিপুরায় ভোট পরবর্তী হিং*সায় গেরুয়া স*ন্ত্রাসে আ*ক্রান্ত সংসদীয় দল

রাজ্যে বিরোধীদের উপর একের পর এক হামলার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এসে পুলিশি প্রহরায় কার্যত গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএমের যৌথ প্রতিনিধি দলের সদস্যদের। হামলার জন্য শাসকদল বিজেপির সরাসরি মদত রয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের

ভোট পরবর্তী হিংসায় অগ্নিগর্ভ ত্রিপুরা। ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই বিরোধীদের উপর গেরুয়া সন্ত্রাস আরও বেড়ে গিয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। বিজেপি আশ্রিতরা ত্রিপুরাকে কার্যত জঙ্গল রাজ্যে পরিণত করেছে।রাজ্যজুড়ে মারধর, রাজনৈতিক হত্যা, বাড়িঘর ভাঙচুর থেকে শুরু করে অগ্নিসংযোগ কিছুই বাদ নেই। আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে নিজেরাই আক্রান্ত সংসদীয় দলের প্রতিনিধিরা।

রাজ্যে বিরোধীদের উপর একের পর এক হামলার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এসে পুলিশি প্রহরায় কার্যত গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএমের যৌথ প্রতিনিধি দলের সদস্যদের। হামলার জন্য শাসকদল বিজেপির সরাসরি মদত রয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

কংগ্রেস ও সিপিএমের যৌথ প্রতিনিধি দলে ছিলেন সিপিএমে সাংসদ তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন এজি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, সাংসদ পি আর নটরাজন, এ এ রহিম, কংগ্রেসের সাংসদ রঞ্জিতা রঞ্জন, আবদুল খালেক, সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বাস প্রমুখ। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ পেয়ে বাম-কংগ্রেসের এই সংসদীয় দল দু’দিনের ত্রিপুরা সফরে আসে। প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি বীরজিৎ সিনহার অভিযোগ, বিশালগড় সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় গেলে তাঁদের উপরও হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ফলে প্রতিনিধি দলটি সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় ঢুকতে পারেনি।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার বাধারঘাট এবং প্রতাপগড় বিধানসভা কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন করে বিশালগড়ের উদ্দেশে যায় যৌথ প্রতিনিধি দলটি। বিশালগড় গিয়ে বুধবার শপথ গ্রহণের দিন রাতে নেহালচন্দ্র নগর এলাকায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ১৯ টি দোকান পরিদর্শন করে সংসদীয় প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত সাংসদ আবদুল খালেক, প্রাক্তন সংসদ অজয় কুমার, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা এবং সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলার সময় শাসকদলের গুণ্ডারা সেখানে পৌঁছয়। সে সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ভাঙচুর করা হয় সংসদীয় প্রতিনিধি দলের একাধিক গাড়ি। পুলিশ এবং টি এস আর জওয়ানরা সংসদীয় প্রতিনিধি দলকে কোনক্রমে প্রানে বাঁচিয়ে সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে পৌঁছায়।

আরও পড়ুন:হাই কোর্টের নির্দেশের পরই বাতিল গ্রুপ সি-র ৫৭ জনের চাকরি! বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ কমিশনের

 

Previous articleহাই কোর্টের নির্দেশের পরই বাতিল গ্রুপ সি-র ৫৭ জনের চাকরি! বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ কমিশনের
Next articleআমেরিকার ব্যাংকিং সেক্টরে সংকট, মন্দার জেরে বন্ধ সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক