নওশাদকে ধা*ক্কায় অভিযুক্তের পরিচয় প্রকাশ্যে, ঢাকঢোল পি*টিয়ে যোগদান হয়েছিল বিজেপিতে

ওই যুবকের নাম আবদুল সালাম ওরফে তোতা। হাওড়ার বাঁকড়ার বাসিন্দা ওই যুবক ২০২০ সালের শেষের দিকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় দিলীপ ঘোষরা ঢাকঢোল পিটিয়ে এই সালাম ওরফে তোতা-কে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে দিয়েছিলেন।

শনিবার DA ধর্না মঞ্চে একপ্রস্থ নাটক! ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে আচমকা ধাক্কা মারেন এক যুবক। যা নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। বিরোধীদের দাবি, অভিযুক্ত যুবক তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। কিন্তু না, বিরোধীদের মিথ্যাচার ফাঁস। প্রকাশ্যে ছবি। ওই যুবক বিজেপির ক্যাডার। বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সর্বভারতীয় বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র সৈয়দ শাহনাওয়াজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার পাশাপাশি দেখা গিয়েছে।

ওই যুবকের নাম আবদুল সালাম ওরফে তোতা। হাওড়ার বাঁকড়ার বাসিন্দা ওই যুবক ২০২০ সালের শেষের দিকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় দিলীপ ঘোষরা ঢাকঢোল পিটিয়ে এই সালাম ওরফে তোতা-কে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে দিয়েছিলেন। তখন বিজেপির তরফে বলা হয়েছিল, সংখ্যালঘুরাও তাঁদের দিকে আসছে। তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ আবদুল সালামের বিজেপিতে যোগদান। যিনি পঞ্চায়েতের একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এরপর একুশের বিধানসভা ভোটে ডোমজুর সহ হাওড়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির হয়ে প্রচারে গলা ফাটিয়েছেন এই আবদুল সালাম ওরফে তোতা। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত সে বিজেপিতেই।

নওশাদ কাণ্ডের পর বেশকিছু ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সর্বভারতীয় বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র সৈয়দ শাহনাওয়াজ হোসেনের নির্বাচনী প্রচারে এক ফ্রেমে রয়েছেন আবদুল সালাম ওরফে তোতা। সাংবাদিক বৈঠকের সময় শাহনাওয়াজ হোসেনের পিছনে বসে রয়েছেন। বিজেপির ঝাণ্ডা হাতে ভোটের প্রচার করছে। নরেন্দ্র মোদি- অমিত শাহদের নামে স্লোগান দিচ্ছেন আবদুল সালাম।

এই আবদুল সালাম হাওড়ার বাঁকড়ার পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা। বাঁকড়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য এই আবদুল।তৃণমূলের প্রতীকে জিতে ২০২০ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। পরে অনেকে তৃণমূলে ফিরে এলে আবদুল ফেরেনি বা তাকেও তৃণমূল ফেরায়নি। আবদুল সালাম ওরফে তোতার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। সে এখন এলাকায় ঢুকতে পারে না। একুশের বিধানসভা ভোটে ডোমজুর এলাকায় বিজেপির বড় ক্যাডার ছিলেন। ভোটের সময় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থদের। বিজেপি ক্ষমতায় এলে দেখে নেওয়ার হুমকিও দিতেন।

বাঁকড়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান শেখ মেহের আলির যদিও দাবি, আবদুলের সঙ্গে তৃণমূলের আর কোনও যোগাযোগ নেই। এমনকী দু’বছর হয়ে গিয়েছে তিনি এলাকাতেও আসেন না। শেখ মেহের আলি বলেন, “আজকে ধর্মতলার বুকে এই ঘটনা কেন ঘটাল বলতে পারব না। তবে আমি জানি ও অসুস্থ। মানসিক সমস্যা আছে। তবে এটা সত্যি কথা ও আমাদের বাঁকড়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য এখনও রয়েছে। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সঙ্গে ছিল না। তখন বিজেপি করত। এখনও ফিরে আসেনি তৃণমূলে। কারণ ওকে এখনও পুলিশ খুঁজছে। তবে ও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছিল।” একই সঙ্গে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে ধাক্কার মারার ঘটনায় তীব্র নিন্দাও করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে বিধায়ক ও হাওড়া সদরে তৃণমূল সভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেন, “ভোটের সময় তোতা একজন সমাজবিরোধী। তাই তার সম্পর্কে বেশি কিছু বলার নেই। বিধানসভা ভোটের সময় বিজেপির হয়ে কাজ করেছিল। ঝামেলা পাকাবার চেষ্টা করেছিল। বর্তমানে পঞ্চায়েত সদস্য থাকলেও দল থেকে তাঁকে অনেক আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে।”

 

Previous articleরাহুল গান্ধীর বাড়িতে দিল্লি পুলিশ! কেন?
Next articleআইএসএল চ‍্যাম্পিয়ন হয়েও রাগ যাচ্ছে না হুগোর, ম‍্যাচ শেষে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি