ভাঁড়ের মণ্ডপ গড়া থিম শিল্পীর রহ*স্যমৃ*ত্যু কলকাতায় !

পুলিশ সূত্রে খবর, বন্দন বাগুইআটির আদর্শপল্লির ভাড়াবাড়িতে আত্মহ*ত্যা করেছেন। ৫৪ বছর বয়সি শিল্পীর মৃ*ত্যুতে শো*কাহত তাঁর পরিবার তথা শিল্পীমহল।

পুজোর থিমের (Durga Puja Theme) চমকে দর্শনার্থীদের মনে বিশেষ জায়গা করে নেন মণ্ডপ শিল্পীরা। থিমশিল্পী বন্দন রাহার (Bandan Raha) নামটাও এভাবেই উঠে এসেছিল আজ থেকে বেশ কিছু বছর আগে। ২০০১ সালের পুজোয় কসবায় ভাঁড়ের মণ্ডপ (Clown Pavilion)তৈরি করে পুজোপ্রেমীদের তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বন্দন রাহা (Bandan Raha)। মঙ্গলবার সকালে বাগুইআটি এলাকায় জগৎপুরের তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে শিল্পীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বন্দন বাগুইআটির আদর্শপল্লির ভাড়াবাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন। ৫৪ বছর বয়সি শিল্পীর মৃত্যুতে শোকাহত তাঁর পরিবার তথা শিল্পীমহল।

যত দিন যাচ্ছে তত বাড়ছে থিমের জাঁকজমক। কিন্তু আজ থেকে ২২ বছর আগে এই ধরণের ভাবনার সঙ্গে বাঙালি তথা কলকাতাবাসী সেভাবে পরিচিত ছিলেন না। কলকাতার দুর্গাপুজোয় থিমের প্রথম সফল রূপকার বন্দন সাহা। ২০০১ সালে ভাঁড়ের প্যান্ডেল করে প্রথম লাইমলাইটে আসেন শিল্পী বন্দন রাহা। কলকাতায় চট, প্লাই বা কাপড়ের মণ্ডপ তৈরি হলেও কোনও একটি জিনিস দিয়ে মণ্ডপ বানানোর কারিগরদের মধ্যেও তিনিই প্রথম বলে মনে করা হয়। আজও মানুষ ভুলতে পারেননি তাঁর সৃষ্টি। জেলা থেকে মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল তিলোত্তমায় বোসপুকুর শীতলামন্দিরের দুর্গা মণ্ডপ দেখার জন্য। ভাঁড়ের মণ্ডপের ভাবনা দিয়ে এক অন্যরকমের সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি।

পরিবার সূত্রে খবর পিকনিক গার্ডেনে তাঁর বাড়ি হলেও স্ত্রীর সঙ্গে খুব একটা ভাল সম্পর্ক ছিল না তাঁর। দীর্ঘদিন ধরে দাদার সঙ্গে বাগুইআটিতেই থাকতেন। শারীরিক ভাবে অসুস্থও ছিলেন। অ্যালজাইমার রোগেও আক্রান্ত ছিলেন বলে দাবি পরিবারের। তবে বেশ কিছুদিন ধরে খুব একটা কাজকর্ম ছিল না তাঁর, ফলে মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অবসাদ থেকেই হয়তো আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন শিল্পী।

 

Previous articleনিশীথ মামলায় আদালতে তুমুল বাকবিতণ্ডা রাজ্য ও কেন্দ্রের আইনজীবীর
Next articleটেট নিয়োগের নথি নিয়ে ইডি দফতরে  প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রতিনিধিরা