সিপিএমের নিয়োগ-দুর্নীতির পর্দা-ফাঁস! সুজনের স্ত্রীর চাকরির চিঠি প্রকাশ তৃণমূলের

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে এবার সরাসরি সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে টুইট করল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার দুপুরে  সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর চাকরিতে যোগদানের চিঠির প্রতিলিপি প্রকাশ করা হয়েছে তৃণমূলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে। সঙ্গে দাবি করা হয়েছে, কোনও পরীক্ষা না দিয়েই এই চাকরি পেয়েছিলেন তিনি।তাতে দেখা যাচ্ছে, দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি ভট্টাচার্যের চাকরি হয়েছিল স্রেফ সুপারিশের উপর ভিত্তি করে। টানা ৩৪ বছর ধরে তিনি মোটা অঙ্কের বেতনে সেখানে চাকরি করেছেন। প্রমাণ হিসেবে সেই সময় মিলি ভট্টাচার্যের লেখা চিঠি টুইট করেছে তৃণমূল (TMC)।

১৯৮৭ সালের ২৯ জুলাই পাওয়া একটা চিঠির ভিত্তিতে ওই বছরের ১ অগাস্ট গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষকে চিঠি লিখে চাকরিতে যোগদান করেন মিলিদেবী। ইন্সট্রুমেন্ট কিপার পদে যোগদান করেন সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী। তৃণমূলের তরফে এই চিঠি প্রকাশ করে লেখা হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি ফাঁস হল! প্রাক্তন CPIM বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী কোনও দিন কোনও পরীক্ষা পাশ করেননি। তিনি দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে ৩৪ বছর চাকরি করেছেন। ২০২১ সালে ৫৫ হাজার টাকা বেসিক পে নিয়ে তিনি অবসর নেন। বর্তমানে তিনি পেনশন পাচ্ছেন। সিপিএমের ক্ষমতার সার্বিক অপব্যবহারের কাহিনী কখনও শেষ হবে না।

বৃহস্পতিবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আলিপুর আদালতে পেশ করার সময় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই কেলেঙ্কারিতে তিন নেতার নাম বলেন – সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী। তাঁরাও যে এই দুর্নীতিতে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক, এই দাবি করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিপিএম আমল থেকে এই দুর্নীতির সূত্রপাত বলেই তাঁর দাবি।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে করা এক টুইটে সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে টুইট করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তার কিছুক্ষণ পর আদালতে প্রবেশের সময় সুজনের নাম শোনা যায় জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে।

যদিও সুজনবাবু বিষয়টি লঘু করতে বলেন, জেলে থাকতে থাকতে মাথার সার্কিট খারাপ হয়ে গিয়েছে।তাই এসব বলছেন। স্ত্রীর যোগদানের চিঠি প্রকাশ্যে আসার পর সুজনবাবুর সাফাই, বারবার গোলপোস্ট বদলে খেলা হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সিপিএমের নিয়োগ দুর্নীতির তালিকা প্রকাশ করবেন। উনি আগে সেটা করুন। আর জবাবের অপেক্ষায় যেন উনি থাকেন।

তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, সুজনের স্ত্রীর চাকরি চিরকুটেই।যেখানেই সিপিএমের হাত সেখানেই চাকরি।পরীক্ষা ছাড়াই পার্টির প্রভাবে চাকরি।সুজনের স্ত্রীর চাকরি কোন পদ্ধতিতে ? প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল মুখপাত্র।

 

 

 

 

 

Previous articleAAP vs BJP: ‘মোদি’র পাল্টা এবার ‘কেজরি হঠাও দিল্লি বাঁচাও’ পোস্টার রাজধানীতে
Next articleনৃশংস! গিরিডিতে সদ্যোজাতকে ‘পায়ে পিষে মারল’ খোদ পুলিশ