সিপিএম শূন্য পাওয়া লোকেদেরও চাকরি দিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী চাইলেই লিস্ট দেবো: তাপস চট্টোপাধ্যায়

প্রাক্তন বামনেতা রেজ্জাক মোল্লা থেকে শুরু করে সমীর পুততুন্ডু, উদয়ন গুহের পর এবার বোমা ফাটালেন তাপস চট্টোপাধ্যায়। তাপসবাবু বর্তমানে তৃণমূল বিধায়ক হলেও একসময়ে সিপিএমের প্রভাবশালী ও প্রথম সারির নেতা ছিলেন

চোরের মায়ের বড় গলা, চালুনি ধরছে সূচের দোষ! সিপিএমের টেলিভিশন ও ফেসবুক নেতাদের এখন এভাবেই সম্বোধন করছে শাসক তৃণমূল। সিপিএমের কুৎসা, অপপ্রচার, মিথ্যাচারের জবাব দিতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন তৃণমূল নেতারা। আমলে নিয়োগ দুর্নীতির তথ্যতালাসে তৎপর শাসকশিবির। ফাইল খুলে পর্দা ফাঁস করার নির্দেশ এসেছে খোদ দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। বাম জমানায় চাকরি চুরিতে সিপিএমের চিরকুট কেলেঙ্কারির তথ্য ইতিমধ্যেই সামনে আসতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন:SSKM ভর্তির প্রয়োজন নেই জানাতেই প্রেসিডেন্সি জেলে ঠাঁই কম্বলকাণ্ডের খলনায়ক জিতেন্দ্রর

প্রাক্তন বামনেতা রেজ্জাক মোল্লা থেকে শুরু করে সমীর পুততুন্ডু, উদয়ন গুহের পর এবার বোমা ফাটালেন তাপস চট্টোপাধ্যায়। তাপসবাবু বর্তমানে তৃণমূল বিধায়ক হলেও একসময়ে সিপিএমের প্রভাবশালী ও প্রথম সারির নেতা ছিলেন। সিপিএমের আমলে নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাপস চট্টোপাধ্যায়ের চাঞ্চল্যকর দাবি, “বাম আমলে শূন্য পাওয়া লোকেদেরও চাকরি দেওয়া হয়েছে। সেই নথি রয়েছে।”


রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বাম আমলে অনেক ভাল মার্কস পাওয়া লোককে বঞ্চিত করা হয়েছে। আবার অনেক শূন্য পাওয়া মানুষের চাকরি হয়েছে। যদি কখনও মুখ্যমন্ত্রী লিস্ট চান, তাহলে সেই লিস্ট আমি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেব।” তিনি দাবি করেন, জেলা দলীয় কার্যালয়, স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হত, এই লোকটা চাকরি দেওয়া হোক। তারপর সেই সিদ্ধান্ত পৌঁছে দেওয়া হত। ম্যানেজিং কমিটির তরফেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হত বলে তিনি দাবি করেন। যদিও সিপিএমের নেতা থাকাকালীন তিনি কাউকে চাকরির সুপারিশ করেননি বলেই জানিয়েছেন তাপস চট্টোপাধ্যায়।

 

 

Previous articleSSKM ভর্তির প্রয়োজন নেই জানাতেই প্রেসিডেন্সি জেলে ঠাঁই কম্বলকাণ্ডের খলনায়ক জিতেন্দ্রর
Next articleতিলজলাকাণ্ডে বিজেপি যোগ, CCTV ফুটেজ সামনে আসতেই খেল খতম গেরুয়া শিবিরের