বাংলার উপকূলকে ঘূর্ণিঝড়-ভাঙন থেকে বাঁচাতে নেদারল্যান্ডসের সাহায্য

রাজ্যের উপকূলবর্তী দুই জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর কে ঘূর্ণিঝড় ও নদী ভাঙনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে ডাচ প্রযুক্তির ব্যবহার আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় রাজ্য সরকার। সুন্দরবন দীঘার মত উপকূলবর্তী এলাকা রক্ষা করতে কল্যাণীর রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও রাজ্য সেচ দফতর নেদারল্যান্ডসের বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে কাজ শুরু করেছে। গত বছরের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে নেদারল্যান্ড সরকারের সঙ্গে এই মর্মে রাজ্যের সেচ দফতরের চুক্তি স্বাক্ষরের পর পাইলট প্রকল্পের আওতায় মৌসুনি দ্বীপের কাছে পাটিবুনিয়া এবং পাথরপ্রতিমার কাছে গোপীবল্লভপুরে ডাচ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। এর পরবর্তী ধাপে অন্যান্য এলাকাতে এই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে আজ দিল্লিতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসেছে। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের ডাকা ওই বৈঠকে রাজ্যের সেচ সচিব প্রভাত মিশ্র উপস্থিত রয়েছেন।নেদারল্যান্ডসের বিশেষজ্ঞরাও রয়েছেন ওই বৈঠকে। সেখানে সুন্দরবনসহ রাজ্যের উপকূল এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।

নেদারল্যান্ড বা হল্যান্ড দেশটির বেশির ভাগ এলাকাই সমুদ্র সমতল থেকে নীচু। ওই সব এলাকায় জোয়ার বা জলোচ্ছ্বাসের জেরে যাতে সাগরের জল কৃষিভূমি বা জনবসতি কিংবা শিল্প এলাকায় ঢুকে না পড়ে তার জন্য সে দেশের অধিবাসী বা ডাচরা যে প্রযুক্তি কাজে লাগায় সেটাই এখন রাজ্য সরকার উপকূলবর্তী এলাকা রক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে চাইছে। সেই সঙ্গে ডাচদের অভিজ্ঞতাকেও এই ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া নদী, খালের সংস্কার, জলের লবণ নিয়ন্ত্রণ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, মৎস্য চাষ ও কৃষির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করা, বায়ো ডাইভারসিটি রক্ষায় তাঁরা প্রয়জনীয় সাহায্য করবেন। পাশাপাশি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষয়ক্ষতি পুনরুদ্ধারে নয়া প্রযুক্তি দেবে নেদারল্যান্ডস সরকার।

আরও পড়ুন- স্থানীয় মুস*লিমদের সরিয়ে সুরাটে সন্ত্রা*সবাদী পরিকল্পনা,অভিযুক্ত ইয়াসিন ভাটকল-সহ ১১ জ.ঙ্গি

Previous articleকলকাতার অনুরোধ, আইপিএল নেই শাকিব আল হাসান : রিপোর্ট
Next articleশিশু-নাবালকদের আইনি কঠোরতা থেকে মুক্ত রাখার ভাবনা রাজ্যের, সাহায্যে ইউনিসেফ