কলকাতা বন্দরকে বেসরকারিকরণের রাস্তায় হাঁটছে কেন্দ্র

কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরে বিভিন্ন প্রকল্প চলছে PPP মডেলে। বন্দরের হাসপাতাল পর্যন্ত বেসরকারি হাতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। হলদিয়া বন্দরে ২ নম্বর বার্থটি টেন্ডারের মাধ্যমে একটি বড় বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

রেল, বিমান পরিষেবা, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের মতো এবার নৌবন্দরকেও বেসরকারিকরণের ঠেলে দিল কেন্দ্র (Central)। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কলকাতা বন্দরকে ধাপে ধাপে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে মোদি সরকার। বন্দর (Port) কর্তৃপক্ষের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০৩০-র মধ্যে কলকাতা (Kolkata) ও হলদিয়া (Haldia) বন্দরের পণ্য পরিবহনের পুরোটাই তুলে দেওয়া হবে বেসরকারি হাতে। সরকার অর্থাৎ বন্দর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা হবে শুধুমাত্র জমি মালিকের। কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান পি এল হরনাদ জানিয়েছেন বর্তমানে কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের মাত্র দশ শতাংশ পণ্য পরিবহন বেসরকারি হাতে রয়েছে। ২০৩০ সালে এর ৮০ থেকে ১০০ শতাংশই বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন এ সময় শুধুমাত্র বন্দরের পরিকাঠামো সরকারের হাতে থাকবে। কিন্তু বন্দরের যেটা মূল কাজ সেই পণ্য ওঠানো নামানোর পুরোটাই চলে যাবে বেসরকারি হাতে।

কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরে বিভিন্ন প্রকল্প চলছে PPP মডেলে। বন্দরের হাসপাতাল পর্যন্ত বেসরকারি হাতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। হলদিয়া বন্দরে ২ নম্বর বার্থটি টেন্ডারের মাধ্যমে একটি বড় বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পণ্য পরিবহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্দর সংলগ্ন শালুকখালিতে বেসরকারি বিনিয়োগে পেট্রোলিয়াম (Petroleum) সামগ্রীর জন্য বিশেষ জেটি নির্মিত হচ্ছে। কলকাতা বন্দরের খিদিরপুর ডকে মোট ছ’টি বার্থ বেসরকারি বিনিয়োগে ঢেলে সাজানো হয়েছে। আবার জলপথে পর্যটন প্রসারের জন্য কলকাতায় জেটি নির্মাণ ও নদী তীরের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পেও সেই মডেল চাইছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। হলদিয়া বন্দরের ৫ নম্বর বার্থটির জন্য শীঘ্রই টেন্ডার ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরে প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে।বন্দর সূত্রে খবর, এর একটা বড় অংশই বেসরকারি।


 

Previous articleজিআই ট্যাগ পেল বেনারসি পান, ল্যাংড়া আমের মুকুটেও নতুন পালক
Next articleউপত্যকায় ৩০ RSS নেতাকে খু*নের হুমকি জ*ঙ্গি সংগঠনের! বাড়ছে উদ্বেগ