“কারা ছিল রাজুর হোটেলে?” কয়লা মা.ফিয়ার খু.ন নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী

গত বছর নভেম্বরের শেষে দুর্গাপুরে দু’দিনের সরকারি সফরে এসে খোদ কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাঁ-এর হোটেলে উঠেছিলেন কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি

নিহত কয়লা মাফিয়া তথা বিজেপি নেতা রাজু ঝা-এর ঝাঁ-চকচকে হোটেলেই গতবছর নভেম্বরে সরকারি বৈঠক-রাত্রিবাস করেছিলেন কেন্দ্রের কয়লা মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি! শুধু হোটেলে ওঠাই নয়, সেই হোটেলে রাত্রিবাস, এমনকী ইসিএলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও করেছেন কয়লা মন্ত্রী। সেই ঘটনার চার মাসের মধ্যেই খুন হতে হল হোটেল মালিক রাজু ঝাঁ-কে। যিনি বিজেপির নেতাও বটে। ফলে এই ঘটনায় অনেকেই দুইয়ে দুইয়ে চার করছেন। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী কোনও গোপন তথ্য জেনে গিয়েছিল রাজু? সেই কারণেই কী খুন হতে হল?

এই আবহে দাঁড়িয়ে শক্তিগড় শুটআউটে কয়লা মাফিয়ার খুন নিয়ে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির সঙ্গে কয়লা মাফিয়ার সরাসরি যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। মঙ্গলবার দিঘার সভা থেকে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “পরশুদিনই এক কোল মাফিয়া মারা গিয়েছে, কই মুখ খুলছেন না তো?” এরপরই রাজু ঝায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের যোগ নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি।

কয়লা মাফিয়ার খুন নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর আরও প্রশ্ন, “বলুন, কারা কারা ছিল তার হোটেলে? কোন মন্ত্রী, কোন নেতা, কাদের কাদের টাকা দিয়েছে? কোন পার্টিকে সাহায্য করত?” এরপরই তৃণমূল সুপ্রিমোর খোঁচা, “কই এসব নিয়ে বলছেন না তো, মুখে কুলুপ এঁটেছে!”

প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বরের শেষে দুর্গাপুরে দু’দিনের সরকারি সফরে এসে খোদ কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাঁ-এর হোটেলে উঠেছিলেন কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি। সেই জায়গা থেকেই প্রশ্ন উঠছে, শিল্পাঞ্চলে ইসিএল এবং সেইলের একাধিক বিলাসবহুল অতিথি নিবাস থাকতেও গত নভেম্বরে কেন সেই কুখ্যাত মাফিয়ার হোটেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উঠলেন? কারা তাঁকে রাজুর হোটেলে ওঠার পরামর্শ দিয়েছল? কেন ওই বিশেষ হোটেলে মন্ত্রীকে থাকতে হল তা নিয়ে প্রশ্ন আগেও জেগেছিল। রাজু খুন হওয়ার পর ফের নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় শক্তিগড়ের আমড়া বাজারের ল্যাংচা হাবের কাছে ফিল্মি কায়দায় কুখ্যাত কয়লা মাফিয়াকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। ১০-১২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। রাজুর গাড়ির সামনের সিটে বসেছিল। দুষ্কৃতীরা তাকে লক্ষ্য করে পরপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। রাজুর বুকে গুলি লাগে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে দুষ্কৃতীরা জানালার কাচ ভেঙেও গুলি চালাতে থাকে। ঘটনাস্থলেই ওই মাফিয়ার মৃত্যু হয়। ব্যবসা সংক্রান্ত কারণ নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই তাঁকে দু’বার জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল। গত নভেম্বরের ২৩ ও ২৪ তারিখ রাজুর হোটেলেই ইসিএল কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয় কেন্দ্রের কয়লা মন্ত্রীর। সেই হোটেলেই রাত কাটান তিনি।

আরও পড়ুন- বিজেপি করলেই কড়কড়ে নোট! সেই লোভে শুভেন্দুদের দলে ছেলে, বি.স্ফোরক সুমিতের মা

 

Previous articleরাজ্যের নিরাপত্তারক্ষী সঙ্গে নিয়েই পুলিশকে তোপ লকেটের! পাল্টা খোঁচা তৃণমূলের
Next articleফের মতি-বদল আবহাওয়ার, বাড়বে তাপমাত্রার পারদ