তাজমহল, কুতুবমিনার ভেঙে মন্দির তৈরি হোক! মোদিকে আবেদন বিজেপি বিধায়কের

শিক্ষাব্যবস্থায় গৈরিকীকরণ অনেক আগেই শুরু হয়েছে। দ্বাদশের পাঠ্যক্রম থেকে বাদ পড়েছে মোঘল যুগও। এবার গোটা দেশ থেকে মোঘল আমল মুছে ফেলার চেষ্টায় নেমেছে গেরুয়া শিবির। সম্রাট শাহজাহানের গড়া ‘প্রেমের সৌধ’, তাজমহল ভেঙে ফেলার দাবি করলেন অসমের বিজেপি বিধায়ক রূপজ্যোতি কুর্মি। পাশাপাশি, সুলতানি আমলে নির্মিত দিল্লির কুতুব মিনারও ভেঙে ফেলার দাবি করছেন বিজেপি বিধায়ক। তাঁর দাবি, বিশ্বজুড়ে ‘প্রেমের সৌধ’ হিসাবে পরিচিতি থাকলেও তাজমহল আদতে তা নয়।

আরও পড়ুন:প্রকাশ্যে ‘দেবী’, বিপাশা-করণের মেয়েকে শুভেচ্ছার বন্যা সোশ্যাল মিডিয়ায়!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদির কাছে অসমের গেরুয়া নেতার আর্জি , ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আমার আবেদন অবিলম্বে তাজমহল এবং কুতুব মিনার ভেঙে মন্দির গড়া হোক।’’ চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাসের পাঠ্যক্রম থেকে মোঘল যুগ বাদ গিয়েছে। ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং’ (এনসিইআরটি)-এর বই থেকে ইতিমধ্যেই বাদ পড়েছে মোঘল সম্রাটদের শাসনপর্বের কথা। যখন শিক্ষামহল এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত, তখন কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানান রূপজ্যোতি। সেইসঙ্গে আজব আবেদনও করে বসেন অসমের ওই বিজেপি বিধায়ক।

প্রসঙ্গত, হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের দাবি, ‘তেজো মহালয়’ নামে একটি শিব মন্দিরের উপরে তাজমহল গড়া হয়েছে। কয়েক বছর আগে সেই সূত্রে তাজমহলের জমিতে জয়পুর রাজপরিবারের ‘অধিকার সংক্রান্ত তথ্য’ও সামনে এসেছিল। রাজস্থানের বিজেপি সাংসদ তথা জয়পুর রাজপরিবারের সদস্য দিয়া কুমারি তাজমহলের জমির উপর অধিকার দাবি করেছিলেন।

অন্যদিকে, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির দাবি, সুলতান কুতুবুদ্দিন আইবক নন, কুতুব মিনার তৈরি হয়েছিল গুপ্তযুগের রাজা বিক্রমাদিত্যের আমলে। অভিযোগ, সূর্যের গতিপথ পর্যালোচনার জন্য তৈরি মিনারকেই পরবর্তী কালে কুতুবে রূপান্তরিত করেন দিল্লি দখলকারী মহম্মদ ঘোরীর সেনাপতি। যদিও এই দাবির ঐতিহাসিক প্রমাণ মেলেনি। আদালতেও হিন্দুত্ববাদীদের আবেদন খারিজ হয়েছে।

 

 

Previous articleরাজপথে রাজ্যপাল: শান্তি বজায়ে রাজ্যে প্রশাসনের ভূমিকায় সন্তুষ্ট আনন্দ বোস
Next articleঅভিষেকের নাম বলতে লাগাতার চাপ! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এবার বিচারককে চিঠি কুন্তলের