বাঁশবেড়িয়ায় অ*স্ত্র নিয়ে মিছিল, পুলিশের সঙ্গে বচ*সায় লকেট !

অপ্রীতিকর ঘটনার আশ*ঙ্কায় বাধা বলেই দাবি পুলিশের। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করার পরিবর্তে বচ*সায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেত্রী (BJP Leader)।

রাজ্য জুড়ে হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti)অনুষ্ঠানে যাতে কোনও অশান্তি না হয় সেইদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছে রাজ্য প্রশাসন। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজ্যের তিনটি জায়গাতে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ মেনে হাওড়া (Howrah), চন্দননগর (Chandannagar), ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট (Barackpore Police)এলাকাতে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুধবার রাত থেকেই চুঁচুড়া, কামারহাটিতে রুটমার্চ করেছে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নজর রাখছে রাজ্য পুলিশও (West Bengal Police)। এরমাঝেই গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা চুঁচুড়ার বিজেপি সাংসদের লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee)। বাঁশবেড়িয়ায় এক মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে অনুরোধ করেন সেখানে না যাওয়ার জন্য। অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় বাধা বলেই দাবি পুলিশের। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করার পরিবর্তে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেত্রী (BJP Leader)।

সপ্তগ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত বাঁশবেড়িয়া কল বাজারে হনুমান জয়ন্তীর পূজায় অংশগ্রহণ করতে গেলে দুপুর ২টো নাগাদ সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায়কে বাঁশবেড়িয়া বড় পাড়া মোড়ের কাছে আটকায় পুলিশ।এসপি রুরালের তরফ থেকে বলা হয়, এলাকায় যাতে কোনও ধরণের অশান্তি না ঘটে সেই কথা মাথায় রেখেই আগাম নিরাপত্তাজনিত কারণেই সাংসদকে সেখানে না যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। এরপর রাস্তায় বসে পড়েন লকেট এবং সেখান থেকেই রাজ্যপালকে গোটা বিষয়টি ফোনে জানান বলেই দাবি বিজেপি নেত্রীর। রাস্তায় বসেই তিনি হনুমান চালিসা পাঠ করতে শুরু করেন। এদিন হুগলি জেলার বেশ কিছু এলাকায় দেখা গিয়েছে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের রাস্তার মাঝে তরোয়াল খেলা প্রদর্শন করতে দেখা যায়। আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, শোভাযাত্রায় অস্ত্র বা লাঠি রাখা চলবে না। এরই মধ্যে হাতে তরোয়াল থাকায় পুলিশ বেশ কিছু জায়গায় মিছিল আটকায়। বাদানুবাদ তৈরি হয় পুলিশের সঙ্গে। একজনকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যদিকে রিষড়ায় যাওয়ার পথে বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে আটকায় পুলিশ। তিনিও বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনী আশায় অশান্তি হয়নি, বিজেপির তরফ থেকে এই দাবি করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন যাঁরা মুঙ্গের থেকে লোক নিয়ে এসে রামনবমীতে অশান্তি তাকিয়ে ছিলেন তাঁরা নিজেরাই নিজেদের ফাঁদে ধরা পড়ে গেছেন।

 

Previous articleনজরে পঞ্চায়েত: শনিবার আলিপুরদুয়ার দিয়ে প্রচার-সভা শুরু অভিষেকের
Next articleআইপিএল-এর পর এবার একদিনের বিশ্বকাপে নেই তারকা এই কিউই ক্রিকেটার : রিপোর্ট