কো*ভিড সং*ক্রমিত গর্ভবতী মহিলার সন্তানের মস্তিষ্কে ক্ষ*তি, প্রকাশ্যে চা*ঞ্চল্যকর রিপোর্ট!

মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Miami)গবেষকরা জানান, যে দুই শিশুর ওপর পরীক্ষা করা হয়েছিল, সেখানে SARS-CoV-2 ভাইরাস মায়ের প্ল্যাসেন্টা (placenta) অতিক্রম করেছে এবং তাঁদের গর্ভজাত শিশুদের মস্তিষ্কের ক্ষ*তি করেছে।

২০২০ সাল থেকে তৈরি হওয়া কোভিড সংক্রমণের (Covid 19) জের এখনও কাটিয়ে উঠতে পারিনি বিশ্ব। ভাইরাসের নিত্যনতুন স্ট্রেন চিন্তায় রেখেছে গবেষকদের। এরমধ্যেই গত বৃহস্পতিবার মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Miami) গবেষকদের প্রকাশিত এক রিপোর্টে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে চিকিৎসক মহলে। আমেরিকার গবেষকরা (American Scientists) কোভিড ১৯ ভাইরাস নিয়ে একটি রিপোর্ট তুলে ধরেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে যে এই ভাইরাসে সংক্রমিত মায়ের থেকে জন্ম নেওয়া শিশুদের মস্তিষ্কের ক্ষতি (brain damage) হয়েছে।

৬ এপ্রিল গবেষণার রিপোর্টটি পেডিয়াট্রিক্স জার্নালে (Journal of Pediatrics) প্রকাশ করা হয়। মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Miami)গবেষকরা জানান, যে দুই শিশুর ওপর পরীক্ষা করা হয়েছিল, সেখানে SARS-CoV-2 ভাইরাস মায়ের প্ল্যাসেন্টা (placenta) অতিক্রম করেছে এবং তাঁদের গর্ভজাত শিশুদের মস্তিষ্কের ক্ষতি করেছে। মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা বলছে, দুটি শিশুর মায়েদের বয়স কম ছিল। আজ থেকে প্রায় বছর তিনেক আগে অর্থাৎ ২০২০ সালে ডেলটা ভেরিয়েন্টের সময় তাঁরা উভয়ই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন। চিকিৎসকদের মতে জন্মের পরপর শিশু দু’টির খিঁচুনি হয়েছিল। এরপর ওই শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশেও যথেষ্ট বেশি সময় লেগেছিল। মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিওনাটোলজিস্ট এবং পেডিয়াট্রিক্সের সহকারী অধ্যাপক ডা. মেরলিন বেনি (Dr. Marilyn Benny) এই বিষয়ে জানেন, যে দুজন শিশুকে নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কেউই কোভিড পজিটিভ ছিল না। তবে রক্তে উচ্চ মাত্রার কোভিড অ্যান্টিবডির উপস্থিতি ছিল। অধ্যাপকের মতে, এখান থেকে এটা পরিষ্কার, যে ভাইরাসটি সম্ভবত মায়ের থেকে প্লাসেন্টায় এবং তারপর শিশুর শরীরে স্থানান্তরিত হয়েছে।গবেষকরা বলছেন, দুই শিশুর মধ্যে একজন জন্মের ১৩ মাস পর মারা গিয়েছিল। পরে অন্যজনকে হাসপাতালে অত্যন্ত যত্ন সহকারে রাখার ব্যবস্থা করা হয়।দুজন মায়ের প্ল্যাসেন্টাতে ভাইরাসের প্রমাণ মিলেছে। এখানেই শেষ নয় যে শিশুটি মারা গেছে তার মস্তিষ্কের ময়নাতদন্তেও মস্তিষ্কে ভাইরাসের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এটা সরাসরি সংক্রমণের কারণে আঘাতের ইঙ্গিত বহন করছে বলেই গবেষকদের দাবি।

সাইটোমেগালোভাইরাস, রুবেলা, এইচআইভি এবং জিকা সহ বেশ কিছু ভাইরাস প্লাসেন্টা অতিক্রম করতে এবং ভ্রূণের মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে সক্ষম বলে পরিচিত। SARS-CoV-2 ভাইরাসটি প্রাপ্তবয়স্কদের মস্তিষ্কের টিস্যুতে সনাক্ত করা হয়েছে এবং কিছু বিশেষজ্ঞ সন্দেহ করেছিলেন যে এটি ভ্রূণের মস্তিষ্কের টিস্যুরও ক্ষতি করতে পারে।

 

Previous articleমুসলিমদের বিরুদ্ধে গো-হ.ত্যার মিথ্যা মামলা! যোগীরাজ্যে হিন্দুমহাসভার চ.ক্রান্ত ফাঁস
Next articleমহার্ঘ ভাতার দাবিতে দিল্লির যন্তর মন্তরে গিয়ে ধর্নাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে নবান্ন