Preventive Detention আইন ঔপনিবেশিকতার প্রতীক: বড় রায় শীর্ষ আদালতের

কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে যখন সরব হয়েছে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ঠিক সেই সময় প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন(preventive detention act) নিয়ে বড় রায় দিল দেশের শীর্ষ আদালত। আদালতে তরফে জানানো হয়েছে, এই আইন ঔপনিবেশিকতার প্রতীক যারা রাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে পারে অসীম ক্ষমতা।

মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত(Supreme Court) তার রায়ে জানিয়েছে, প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন আইন আসলে ঔপনিবেশিকতার প্রতীক। এই আইন রাষ্ট্রের হাতে অসীম ক্ষমতা তুলে দিতে পারে। যা সরকারকে অপরিসীম ক্ষমতা দিতে পারে। ফলে এই ধরনের আইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সর্তকতা জরুরি। সব আইনি পদ্ধতি খতিয়ে দেখে তবে এই আইনে গ্রেফতারিতে সম্মতি দেওয়া উচিত। যদি কোন ক্ষেত্রে মনে হয় প্রশাসন কাউকে গ্রেফতার বা আটকের আগে সব আইনি পদ্ধতি সঠিকভাবে পালন করেনি সে ক্ষেত্রে অবশ্যই গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির জামিনের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাওয়া উচিত। কারণ ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার গুরুদায়িত্ব আদালতের উপরেই ব্যস্ত।

উল্লেখ্য, কারো বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ না থাকলেও রাষ্ট্রশক্তি চাইলে প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন আইন বা আগাম গ্রেপ্তারি আইন ব্যবহার করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে এই আইনের অপব্যবহার করছে সরকার। এখানে পরিস্থিতির মাঝে আদালতের এই রায় কিছুটা হলেও আশার আলো বিরোধীদের জন্য।

Previous articleবুধে ওন্দায় অভিষেকের সভায় ১ লক্ষ জমায়েতের টার্গেট তৃণমূলের, উৎসাহ তুঙ্গে
Next articleরাজ্যকে সিলেবাস বদলের পরামর্শ হাইকোর্টের!