সৌরঝড়ের প্রভাবে বাড়তে পারে তাপমাত্রা, তছনছ হতে পারে টেলি যোগাযোগও

তীব্র দাবদাহের দাপটে কাহিল বঙ্গবাসী।তারইমধ্যে সৌরঝড়ের সতর্কতা জারি করল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।এর প্রভাবে গরম তাপের হলকা এসে লাগবে পৃথিবীর বুকে। এর ফলে ক্ষতির আশঙ্কার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:‘হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ’ কী? কোথায় দৃশ্যমান হবে এই গ্রহণ?

বুধবার সূর্যে নতুন করে ঝড়ের সতর্কতা জারি করেছে নাসা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পৃথিবীর উপর তার প্রভাব দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় সাড়ে ৯ কোটি মাইল দূরে সূর্য থেকে ছুটে এসে পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে গনগনে সৌররশ্মিরা। পূর্বাভাস বলছে,বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সৌরঝড়ের দাপট থাকবে পৃথিবীতে। কেঁপে উঠবে পৃথিবীর চারপাশে থাকা চৌম্বক ক্ষেত্র। দুই মেরুতে ঘনঘন উজ্জ্বল হয়ে উঠবে মেরুজ্যোতি। পৃথিবীতে হামলা চালাতে পারে সূর্যের প্লাজমা থেকে আসা ‘করোনাল মাস ইজেকশান (সিএমই)’।

সূর্যের মধ্যে ছিদ্র দেখা দিয়েছে বলে কয়েকদিন আগেই জানিয়েছিল ন্যাশনাল ওসেনিক অ্যান্ড অ্যাটমস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। সেই ফাটল পথেই প্রবল বেগে সৌরবায়ু ছিটকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে। এর প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে। সৌরপদার্থবিজ্ঞানীরা বলেন, অসম্ভব শক্তিশালী সৌরকণারা যদি কোনওভাবে পৃথিবীর অনেক কাছাকাছি চলে আসে তাহলে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হবে। সৌরকণাদের সম্মিলিত শক্তি যদি বেশি হয়, তাহলে পৃথিবীর রেডিও বা টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থাকে তছনছ করে দিতে পারে।

কী হতে পারে সূর্যে এই ঝড়ের ফলে?

সৌরঝড় আছড়ে পড়লে তার শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র ও আয়নগুলো পৃথিবীর টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ও জিপিএস নেটওয়ার্ককে তছনছ করে দিতে পারে। সৌরঝড় (সোলার স্টর্ম) যার দ্বারা স্যাটেলাইটগুলো আক্রান্ত হয় ও টেলি যোগাযোগে বড় ব্যাঘাত ঘটায়।
পাশাপাশি, বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়াতেও দায়ী থাকবে এই সৌরবায়ু, সৌরঝড় এবং সৌর বিকিরণ। শক্তিশালী সৌরঝড়ের প্রভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে রেডিও ও টেলি যোগাযোগ, ইন্টারনেট ব্যবস্থা, এমনকী বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।

 

 

Previous articleদিল্লিতে অ্যাপেল-এর প্রথম স্টোর উদ্বোধন করলেন সংস্থার সিইও টিম কুক
Next article“হাতে আংটি নেই, ঘামাচি আছে”! কুন্তলের নিশানায় কে?