ডিএ মামলা: রাজ্য সরকারি কর্মীদের ‘সুপ্রিম’ অপেক্ষার মেয়াদ কী বাড়ল?

ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছোল ডিএ মামলার শুনানি। আগামী সোমবার ২৪ এপ্রিল বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি জেবি পার্ডিওয়ালার বেঞ্চে মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশেষ কারণে ওই দিন জেবি পার্ডিওয়ালা আদালতে উপস্থিত থাকবেন না বলে জানা গেছে। এই কারণেই বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর সঙ্গে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তকে নিয়ে বেঞ্চ তৈরির কথা বলা হয়। কিন্তু বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বাঙালি বলে আগেই নিজেকে এই মামলা থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। ফলে সোমবার এই মামলার শুনানি হবে না। স্বভাবতই অনির্দিষ্ট কালের জন্য মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:নবান্নে ডিএ বৈঠক নিষ্ফলা, ৬ মে কলকাতায় মহামিছিলের ডাক যৌথ মঞ্চের

ডিএ মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় বারেবারেই পিছিয়ে যাচ্ছে। গত বছর ৫ ডিসেম্বর মামলাটি প্রথম বার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। পরে শুনানির দিন পিছিয়ে ১৪ ডিসেম্বর করা হয়। তা পিছিয়ে হয় ১১ ফেব্রুয়ারি। সেই শুনানিও পিছিয়ে যায়। ঠিক হয় ২১ মার্চ হবে। কিন্তু সেদিনও স্থগিত হয়ে যায় মহার্ঘ ভাতা মামলার শুনানি। এরপর বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। পর ডিএ মামলার বেঞ্চ বদল হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীকে নিয়ে বেঞ্চ গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ও সরে দাঁড়ান। ফলে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারকে নিয়ে ফের নতুন বেঞ্চ গঠন হয়।

এর আগের দিন বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। সোমবার শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি জেবি পার্ডিওয়ালার বেঞ্চে। কিন্তু বিচারপতি পার্ডিওয়ালা থাকতে না পারায় এই মামলার শুনানি হবে না। আবার বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ১৪ মে অবসর নিচ্ছেন। অন্যদিকে ১৯ মে থেকে সুপ্রিম কোর্টে গ্রীষ্মকালীন ছুটি পড়ে যাবে। কাজেই সব মিলিয়ে ডিএ মামলার শুনানি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শোনা যাচ্ছে, অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে যেতে পারে মামলার শুনানি।

 

 

Previous articleBreakfast news :. ব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleলজ্জা! বিজেপি শাসিত যোগীরাজ্যে নাবালিকা ও তার বন্ধুকে ধ*র্ষণ বাবার! ধৃ*ত পেশায় পঞ্চায়েত প্রধান