আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলের প্রচারাভিযান শুরু হবে মঙ্গলবার। কিন্তু সোমবার কোচবিহারে পৌঁছেই কার্যত সেই যাত্রার সূচনা করে দিলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। একই সঙ্গে বার্তা দিলেন অখন্ড পশ্চিমবঙ্গের। তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচি অন্তর্গত জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কোচবিহারে এবিএন কলেজ মাঠ থেকে হেঁটেই মদন মোহন মন্দিরে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তা দু’ধারে জনতা তাঁকে বিপুল উৎসাহে স্বাগত জানায়। পুজো দিয়ে অভিষেক জানান, “কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ একটাই বঙ্গ, সেটা পশ্চিমবঙ্গ”।

হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে অভিষেকের জন্য হাজির ছিল গাড়ি কিন্তু সেদিকে না গিয়ে একেবারে মন্দিরে উদ্দেশ্যে রওনা দেন তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গাড়ি ছেড়ে এভাবে তাঁকে হাঁটতে দেখে অবাক হয়ে যান অনেকেই। কার্যত জনসংযোগ যাত্রা শুরু হয়ে যান সেই সময় থেকেই। মদনমোহন মন্দিরে পূজো দিয়ে বেরোনোর পর অভিষেক বলেন, “আমি মানুষের কাছে যাব। গণতন্ত্রে আমি শেষ কথা নয়। মানুষই জবাব দেবেন।” নাম না করে বিজেপিকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, “কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থে উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গ ভাগ করতে চায়। আমি এই শব্দবন্ধের বিরোধী। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ একটাই বঙ্গ, সেটা পশ্চিমবঙ্গ”।

অভিষেককে দেখতে রাস্তার দু’ধারে ভিড় উপচে পড়ে। নিজেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যান সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। স্থানীয়রা তাঁকে জমির পাট্টা নিয়ে সমস্যার কথা জানান। সমাধানের আশ্বাস দেন অভিষেক। পুজো দিয়ে বামনহাটার যান। রাতে সেখানেই শিবিরে থাকছেন তিনি। কোচবিহারে তিন দিন থেকে যাবেন আলিপুরদুয়ার। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি।

 

 

 

Previous articleকালিয়াগঞ্জকাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের, সাসপেন্ড ৪ ASI: NCPCR চেয়ারম্যানের অভিযোগ নস্যাৎ শশী-কুণালের
Next articleসংখ্যালঘু অধ্যুষিত তিন জেলা সফরে যাবেন ফিরহাদ হাকিম