ব্যাট না ধরেও হাফ সেঞ্চুরি সচিনের, সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগের বন্যা!

ক্রিকেটের ভগবান সচিন রমেশ তেন্ডুলকর (Sachin Ramesh Tendulkar) সোমবার অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল জীবনের হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললেন। শুভ জন্মদিন মাস্টার ব্লাস্টার (Happy Birthday Sachin)!

ক্রিকেটের (Cricket) ‘বিস্ময় বালক’ ক্রিজে নেমে আর ব্যাট করেন না। কিন্তু তিনি যে আজও খেলা অন্ত প্রাণ সেটা টিম ইন্ডিয়ার (Team India) ক্রাইসিস পিরিয়ডে কিংবা মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের (MI) বড় রান তাড়া করার সময় ‘তাঁর’ এক্সপ্রেশনেই বোঝা যায়। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় হয়েছে তিনি মাঠ ছেড়েছেন। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তা কমেনি এতটুকু। ক্রিকেটের ভগবান সচিন রমেশ তেন্ডুলকর (Sachin Ramesh Tendulkar) সোমবার অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল জীবনের হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললেন। শুভ জন্মদিন মাস্টার ব্লাস্টার (Happy Birthday Sachin)!

টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে ২০১৩ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়েতে শেষ টেস্ট খেলেছিলেন । সেদিন মাঠ ছেড়ে বেরোবার সময় শ্রদ্ধায় মাথা নিচু করে পিচ প্রণাম করেছিলেন সচিন। তাঁর ফ্যানদের কাছে সেদিনের স্মৃতি এখনও টাটকা। ওয়াসিম আক্রম (Wasim Akram), ওয়াকার ইউনিস, ইমরান খানের মোকাবেলা করতে শুরু করেছিলেন মাত্র ১৬ বছর বয়স থেকে। মুরলিধরন কিংবা শেন ওয়ার্ন সচিনকে বল করতে গেলে রীতিমতো ভাবতে হতো বিশ্বের বাঘা বাঘা বোলারদের। মাঝে অত্যন্ত শান্ত এবং নম্র স্বভাবের এই ভারতীয় ক্রিকেটার আজীবন খেলার প্রতি তাঁর আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। আজও নীল জার্সির খেলোয়াড়রা ম্যাচ হেরে গেলে মাস্টার ব্লাস্টারের চোখের কোণে জল আসে। ৯৯.৫ শতাংশ নিখুঁত এক ব্যাটার বলেছিলেন ভিভিয়ান রিচার্ডস। আধুনিক ক্রিকেটের নয়া ডন ব্র্যাডম্যান ছিলেন তিনি। তাঁর শতরানের সেঞ্চুরি দেখতে চেয়েছিলেন আপামর ভারতবাসী। নিরাশ করেননি ক্রিকেট দেবতা। ভারতে ক্রিকেট ধর্ম হলে, সচিন ঈশ্বর এ কথা স্বীকার করেছে গোটা বিশ্ব। তিনি খেলা মানেই গ্যালারি ভর্তি। তাঁকে নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা, কাটাছেঁড়া, বিশ্লেষণ কম হয়নি কিন্তু এই সব কিছু করেও তাঁকে থামানো যায়নি।

একদিনের ক্রিকেটে ৭৯ তম ম্যাচে, ৭৬তম ইনিংসে প্রথম শতরান এসেছিল। কিন্তু কখনই মনোবল হারাননি আর তাইতো প্রবল প্রতিপক্ষদেরও নিজের গুণমুগ্ধ করে নিয়েছেন এই ক্রিকেট তারকা। প্রিয় ক্রিকেটারের জন্মদিন উপলক্ষে ২৪ এপ্রিল সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) শুভেচ্ছার বন্যা। বিভিন্ন প্রজন্মের মানুষ সচিনের প্রশংসায় নস্টালজিক পড়ছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (International Cricket) তেন্ডুলকরের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৩৪,৩৫৭ রান। যা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এবং আগামীতেও ক্রিকেট খেলবেন যাঁরা তাঁদের প্রত্যেকের কাছে একটা আদর্শ। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে ২০০তম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন তিনি। মাঠে নামা মানেই ” সচিন সচিন” রব যা ধ্বনিত হতো স্টেডিয়ামের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত। তেন্ডুলকর আউট মানে মাঠ জুড়ে বিষণ্নতা। প্রবীণ থেকে নবীন সতীর্থদের সঙ্গে সবসময় মানিয়ে নিতে পারতেন তিনি। আজহার হোক বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Saurav Ganguly), মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা বিরাট কোহলি – প্রতি প্রজন্মের সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে নিয়ে ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে ক্রিকেট শাসন করেছেন এই পঞ্চাশ বছরে পা দেওয়া ক্রিকেটের ‘বিস্ময় বালক’। ২৪ এপ্রিল, ১৯৭৩, এই তারিখটা কোনদিনই ভুলতে পারবে না গোটা বিশ্ব। সবুজ ঘাসে ১০০ সেঞ্চুরি, ২০০ টেস্টের পর জীবনের আকাশে ৫০ তম বসন্তে সচিন রমেশ তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)।

 

Previous articleলক্ষ্য তৃণমূলে নব জোয়ার, আজই যাত্রা শুরু অভিষেকের!
Next articleপাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন: নবান্নে আজ মমতা – নীতীশ বৈঠক!