ফের উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj)। বুধবার, গভীর রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক BJP কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে নতুন করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতের নাম মৃত্যুঞ্জয় বর্মন (৩৩)। পুলিশের গুলিতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করতে আসরে নেমেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন:ফের বাম জমানায় চাকরি চুরির পর্দাফাঁস করলেন কুণাল! এবারও সেই সুজনের জেলা
গতরাতে কালিয়াগঞ্জের বিক্ষোভে অভিযুক্ত বিজেপি-র গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিষ্ণুবর্মণকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ (Police)। অভিযোগ, তাঁকে না পেয়ে তাঁর বাবা ও থানায় যেতে চায় পুলিশ। বাধা দেন বিষ্ণবর্মণের খুড়তুতো ভাই মৃত্যুঞ্জয় বর্মণ। স্থানীয়রা জড়ো হয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেন। গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে বচসা বাধে। রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়। সেই সময় পুলিশের গুলিতে মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ রায়গঞ্জ মেডিক্যালে কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এলাকা থমথমে। ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশের বিশাল বাহিনী।
এরপরই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়ে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা টুইটে সরাসরি অভিযোগের আঙুল পুলিশের বিরুদ্ধে। মৃত্যু নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করতে চাইছে বলে পাল্টা আক্রমণ করেন TMC সাংসদ শান্তুনু সেন। বলেন, “মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি বিজেপির সংস্কৃতি। কালিয়াগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা পাওয়া গেল আত্মহত্যা। আর পুলিশ বাংলায় সহনশীলতার পরিচয় দেয় তা দেখেছেন ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর। বিজেপি ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে মারধর করেছিল। এই কালিয়াগঞ্জেই দেখলেন পুলিশের উপর কীভাবে আক্রমণ হয়েছে। আসলে মানুষ যত প্রত্যাখান করছে ওরা তত জলঘোলা করে বেঁচে থাকতে চাইছে।”