ঘৃণা ভাষণের অভিযোগ না হলেও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, যারা ঘৃণা ভাষণ দেবেন তাদের ধর্ম নির্বিশেষে পদক্ষেপ নিতে হবে। যাতে সংবিধান বর্ণিত ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র বজায় রাখা হয়।

ঘৃণা ভাষণ নিয়ে কতগুলি মামলা দায়ের হয়েছে দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ঘৃণা ভাষণের ঘটনার ক্ষেত্রে কোনও অভিযোগ জমা না পড়লেও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর করতে হবে।সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, যারা ঘৃণা ভাষণ দেবেন তাদের ধর্ম নির্বিশেষে পদক্ষেপ নিতে হবে। যাতে সংবিধান বর্ণিত ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র বজায় রাখা হয়।

শীর্ষ আদালত শুক্রবার নির্দেশে আরও বলেছে যে, ঘৃণা ভাষণ নিয়ে মামলা নথিভুক্ত করতে দেরি হলে, তা আদালত অবমাননা হিসাবে গণ্য করা হবে। কারণ, দেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রভাবিত করতে পারে ঘৃনা ভাষণ। এটি একটি গুরুতর অপরাধ বলে শুক্রবার উল্লেখ করেছে সর্বোচ্চ আদালত।

বিচারপতি কে এম জোসেফ ও বিচারপতি বি ভি নাগারত্নর বেঞ্চ তাদের রায়ে জানিয়েছে, ”আমরা এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে, এই ধরনের পদক্ষেপের সময় যেন কোন ধর্মের মানুষ এই ভাষণ দিচ্ছে তা দেখা না হয়।” সেই সঙ্গে বেঞ্চ এও জানিয়েছে, ”বিচারপতিরা অরাজনৈতিক। এবং কোনও পার্টি এ বা পার্টি বি নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন। একমাত্র ভারতীয় সংবিধানকেই মাথায় রাখা হয়।”

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর অক্টোবর মাসে সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, ঘৃণা ছড়ানোর ঘটনায় প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করা হবে। ঘৃণা-ভাষণ সংক্রান্ত ওই মামলায় বিচারপতিরা  মন্তব্য করেছিলেন, ‘আমরা এখন একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে রয়েছি। ধর্মের নামে কোথায় পৌঁছে গিয়েছি আমরা?’

 

 

Previous articleজামিন আটকাতে ত.দন্ত শেষ না করেই চার্জশিট নয়, বড় নির্দেশ সুপ্রিম আদালতের
Next articleপ্রথম পদক্ষেপ, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে রাজি দিল্লি পুলিশ