সুপ্রিম ধা.ক্কা খেলেন কৈলাস, ধ.র্ষণে অভি.যুক্ত বিজেপি নেতার বি.রুদ্ধে মামলার শুনানি আলিপুর কোর্টে

২০১৮ সালে রাজ্যেরই এক বিজেপি নেত্রীকে ধ.র্ষণের অভি.যোগ ওঠে কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বিরুদ্ধে। তখন বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন কৈলাস। ওই ঘটনায় নাম জড়ায় সঙ্ঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ আরও দুই বিজেপি নেতার।

ধর্ষণ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বড়সড় ধাক্কা খেলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) সহ আরও দুই নেতা। শীর্ষ আদালত এই মামলা আলিপুর আদালতে (Alipore Court) ফেরত পাঠিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, মামলাটি নতুন করে শুনানি করতে হবে আলিপুর আদালতে। এবং নিম্ন আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে বিজয়বর্গী্য় সহ তিন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে এফআইআর হবে কি না।

২০১৮ সালে রাজ্যেরই এক বিজেপি নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বিরুদ্ধে। তখন বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন কৈলাস। ওই ঘটনায় নাম জড়ায় সঙ্ঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ আরও দুই বিজেপি নেতা প্রদীপ যোশী এবং জিষ্ণু বসুর। এদের মধ্যে প্রদীপকে পরে বহিষ্কার করে বিজেপি। আর জিষ্ণু বসু রাজ্যের শীর্ষ আরএসএস নেতা। অভিযোগ, সেই ঘটনার পর থেকেই ওই মহিলা এবং তাঁর পরিবারকে খুনের হুমকি দেওয়া শুরু হয়। ওই ঘটনায় দুটি এফআইআরও দায়ের করেন বিজেপি নেত্রী। ২০১৯ সালে একটি এফআইআর হয় সরশুনা থানায়, অন্যটি হয় বোলপুর থানায়।

গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, বিজেপির ওই নেত্রী পার্টিকে গোটা ঘটনা জানিয়েও সুরাহা না পেয়ে আলিপুর আদালতের দ্বারস্থ হন ২০২০ সালে। তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার আবেদন জানান। আলিপুর আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিলে হাইকোর্টে যান বিজেপি নেত্রী। হাইকোর্ট ফের কৈলাসদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান।কৈলাস বিজেপির তিন নেতা। ১৭ মাস আগে সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি হলেও রায়দান স্থগিত থাকে। আজ, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলাটি আবার আলিপুর আদালতেই ফেরত পাঠিয়ে দিয়ে জানায়, এই মামলার শুনানি করতে হবে। কৈলাসদের বিরুদ্ধে এফআইআর হবে কী হবে না, সেই সিদ্ধান্তও নিতে হবে আলিপুর আদালতকেই।

 

Previous article‘সব পদক নিয়ে নিন’, দিল্লি পুলিশের ব্যবহারের পর বললেন ক্ষুব্ধ আন্দলনকারী কুস্তিগিররা
Next articleস্ত্রীর যৌ.নাঙ্গ পু.ড়িয়ে ধ.র্ষণের অভি.যোগ স্বামীর বি.রুদ্ধে! নৃ.শংসতায় শি.উরে উঠল নেটপাড়া