বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পরে এরাজ্যে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খুলছে সেচ দফতর। কোথাও বাঁধ ভাঙলে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে কন্ট্রোল রুম। জলসম্পদ ভবনে ১০ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত এই কন্ট্রোলরুম চালু থাকবে। প্রয়োজনে ২০ তারিখের পরেও কন্ট্রোলরুম চালু রাখা হতে পারে। তিনটি শিফটে কাজ করবে এই কন্ট্রোলরুম। সকাল সাতটা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত একটি শিফট, আড়াইটে থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত একটি শিফট, রাত ১০ টা থেকে পরদিন সকাল সাতটা পর্যন্ত আর একটি শিফট।
প্রতিটি শিফটে থাকবেন একজন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট রিসার্চ অফিসার, একজন ড্রাফটসম্যান এবং একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর থেকে প্রত্যেক জেলাশাসককে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।জেলাগুলি ত্রাণসামগ্রী মজুত রাখবে।নিচু এলাকা থেকে যাতে প্রয়োজনে মানুষকে সরিয়ে আনা যায়, সেজন্য ফ্লাড রিলিফ সেন্টারগুলি প্রস্তুত থাকবে।
সম্ভাব্য ঝড়ের জন্য আগামী কাল থেকেই লালবাজারে খোলা হচ্ছে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম। থানা এবং ট্রাফিক গার্ডদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- মাদ্রাসার ১৭২৯টি পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি কমিশনের