“২০২৪ পর্যন্ত কেন্দ্র আমাদের টাকা দেবে না। ইচ্ছা করে আটকে রাখবে। ওরা শুধু হিংসা নিয়ে মাথা ঘামায়, উন্নয়ন নিয়ে নয়”, এদিন পাট্টা বিলির মঞ্চ থেকে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে গঙ্গা ভাঙনে যাঁদের জমি-বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে, সেই অসহায় পরিবারগুলোর হাতে জমির পাট্টা তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রের মোদি সরকার ও শাসক বিজেপিকে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের সাধ্যমতো কাজ করব। আমাদের সাধ্যের ত্রুটি থাকবে না। মুর্শিদাবাদকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। পর্যটন কেন্দ্র আরও ভালো হবে। মুর্শিদাবাদ অনেক রাজনৈতিক নেতাদের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু তাঁরা কাজ করেনি। কিন্তু আমাদের করতে হবে। আগামী লোকসভা ভোট পর্যন্ত কেন্দ্র বাংলাকে টাকা দেবে না বলেছে। কারণ, বাংলা ওদের বিরুদ্ধে লড়াই করে।”
তাঁর আরও সংযোজন, “দেশের নেতা কেমন হয়, দেশকে যিনি ভালোবাসেন। মানুষের উপকার করেন। আমরা তো ইতিহাস ভুলে যাব না। বরং ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেই প্রতিবাদ করব। আর কেউ যদি বলে, হাম দেশকা নেতা হ্যায়। এইরকম করে নেতা হওয়া যায় না। মানুষ যাকে নেতা বলে তিনিই আসলে নেতা।”
এদিনের সভাশেষে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি থেকে বিজেপিকে হটাতে ফের একবার “ওয়ান ইজ টু ওয়ান” ফাইটের আহ্বান জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “ওয়ান ইজ টু ওয়ান ফাইট হোক। যে যেখানে শক্তিশালী সে সেখানে লড়াই করুক। এতে আমার কোনও আপত্তি নেই।” পাটনায় বিজেপি বিরোধী দলগুলির বৈঠক, ১৭ অথবা ১৮ মে হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
এদিকে, এদিন মোট ৮৬ জনের হাতে পাট্টা তুলে দেওয়া হল। একইসঙ্গে সামশেরগঞ্জের জন্য আরও ১০০ কোটি টাকা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সেচ দপ্তর থেকে ৫০ কোটি দেওয়া হবে। আর কাল আমি ৫০ কোটি দিয়েছিলাম। নতুন করে যারা ঘর-বাড়ি করবেন তাঁরা নদীর পাড় থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে করবেন। জীবনের থেকে বড় কিছুই নয়। ফারাক্কা ব্যারেজ ড্রেজিং করে না। কখন যে নদীর পাড় কত ভাঙবে কেউ জানে না। রাজ্যের পক্ষে এত কোটি কোটি টাকা জলে ঢালা সম্ভব নয়।” এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, সেচ দপ্তরের সচিব প্রভাত মিশ্র-সহ আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন:ফের বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে সুশান্ত সিং রাজপুতের ছবি