পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে এক সাইকেল আরোহীকে পিষে মারার অভিযোগ উঠেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের একটি বেপরোয়া গতির গাড়ির বিরুদ্ধে। বছর ৩৩-এর তরতাজা যুবক নিহত শেখ ইসরাফিলের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গরিব পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আর্থিক সাহায্য।
একইসঙ্গে দোষীদের শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছে তৃণমূল। শুক্রবার সকালে চণ্ডীপুরে প্রতিবাদ মিছিল করেন শাসক দলের নেতানেত্রীরা। স্থানীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি মিছিলে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি, বিরবাহা হাঁসদা, চণ্ডীপুরের বিধায়ক অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী ছাড়াও দোলা সেন, যুবনেতা সুদীপ রাহা, দেবাংশু ভট্টাচার্যেরা।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্ত গাড়ি চালককে কাঁথি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম আনন্দকুমার পাণ্ডে। শুক্রবার তাঁকে তমলুক আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক ধৃতের ১ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। কনভয়ে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককেই তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। নোটিশ দেওয়া হবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। এই প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘‘গাড়িচালক গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁকে এক দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বাকি কনভয়ের সমস্ত যাত্রী এবং চালককে নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠানো হচ্ছে।’’
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, শুভেন্দুর কনভয়ের গাড়ির ধাক্কাতেই মৃত্যু হয় ভৈরবপুরের বাসিন্দা বছর শেখ ইসরাফিলের। চণ্ডীপুর পেট্রল পাম্পের কাছে রাস্তা পার করার সময়ে শুভেন্দুর কনভয়ের সামনের গাড়িটি সজোরে তাঁকে ধাক্কা দেয়। অভিযোগ, গাড়িটি প্রচণ্ড গতিতে যুবককে ধাক্কা মারার পর ঘটনাস্থলে আর দাঁড়ায়নি। গুরুতর জখম অবস্থায় ইসরাফিলকে এড়াশাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। অথচ, শুভেন্দু সবকিছু জেনেও ফিরেও তাকাননি।
তৃণমূলের বক্তব্য, যুবককে পিষে দেওয়ার পরেও মানবিকতা দেখানো হয়নি। চালক পালিয়ে গিয়েছেন। শুভেন্দুও পালিয়ে গিয়েছেন। গুরুতর জখম যুবককে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি হয়তো প্রাণে বেঁচে যেতেন।