শীর্ষ আদালতে বড় জয়, দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা কেজরির হাতে

আমলাদের নিয়ন্ত্রণের রাশ কার হাতে থাকবে, নির্বাচিত সরকার নাকি মনোনীত লেফটেন্যান্ট গভর্নর? এই ইস্যুতে শীর্ষ আদালতে(Supreme Court) দায়ের হয়েছিল মামলা। যেখানে বড় জয় পেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের(Arvind Kejriwal) সরকার। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, সমস্ত প্রশাসনিক ক্ষমতার উপরে নিয়ন্ত্রণ থাকবে দিল্লি সরকারেরই। জমি, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ছাড়া বাকি সমস্ত প্রশাসনিক কাজে শেষ কথা বলবে দিল্লি সরকার(Delhi Govt) আর লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে দিল্লি সরকারের সমস্ত সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। আদালত স্পষ্ট জানায়, “গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় প্রকৃত প্রশাসনিক ক্ষমতা অবশ্যই নির্বাচিত সরকারের হাতেই থাকা উচিত।”

বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্টের ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, সমস্ত প্রশাসনিক বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ থাকবে দিল্লি সরকারের হাতে। আর সেই সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে। দিল্লির নির্বাচিত সরকারের হাতে কেন প্রশাসনিক ক্ষমতা থাকবে তা ব্যাখ্যা করে শীর্ষ আদালত জানায়, “জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য দিল্লি বিধানসভাকে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।” প্রধান বিচারপতি এই মামলার রায়ে জানান, “সরকারি আধিকারিকরা যদি মন্ত্রীদের কাছে রিপোর্ট করা বন্ধ করে দেন বা তাঁদের নির্দেশ না মেনে চলেন, তবে সম্মিলিত দায়বদ্ধতার নীতি প্রভাবিত হবে।” আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাধ্য থাকবেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। পাশাপাশি আমলাদের নিয়ন্ত্রণ ও বদলি সংক্রান্ত সমস্ত ক্ষমতার রাশ থাকবে কেজরি সরকারের হাতেই।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লির শাসন ব্যবস্থা কার হাতে থাকবে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন চলছিল কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারের মধ্যে। এরইমাঝে কেন্দ্র NCT আইন সংশোধন করার পরে AAP-এর নেতৃত্বাধীন দিল্লি সরকার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। গত জানুয়ারি মাসে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বেঞ্চ এই মামলা শোনার পর স্থগিত রাখে রায়দান। এরপর বৃহস্পতিবার কেজরি সরকারের পক্ষেই রায় দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

Previous articleএতো রাগ কীসের? কাকশিল্পীর কি পদের অভাব!
Next article‘সিবিআইয়ের রিপোর্টে টাকা লেনদেনের কথা নেই, তাহলে চাকরি বাতিল কেন?’সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন আইনজীবীর