তীব্র দহন। বাংলাজুড়ে তাপপ্রবাহের সর্তকতা। তার মধ্যে একটা ছবি বেশ নজরে পড়ল তৃষ্ণার্ত কাক কল থেকে জল খাওয়ার চেষ্টা করছে। আর এই ভীষণ দহনের কারণেই কি ভুল বকছেন ‘কাকশিল্পী’ শুভাপ্রসন্ন? এখন এই প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে নেট মাধ্যমে। থেকে থেকেই হেড অফিসের বড়বাবুর মতো বেজায় খেপে যাচ্ছেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন (Shubhaprasanna)।
এর আগে ভাষা দিবসেও শব্দ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন কাকশিল্পী। কিন্তু সেবার ল্যাজেগোবরে হয়ে শেষে রণেভঙ্গ দেন। ফের প্রবল গরম পড়তেই আবার আলটপকা মন্তব্য শুরু করেছেন শুভাপ্রসন্ন।
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ বিতর্কে মুখ খুলেছিলেন শুভাপ্রসন্ন। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, এই ছবি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অহেতুক ছবিটিকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। শুভাপ্রসন্নে বুধবার সকালে ফোনে কথা বলার পরে সন্ধেয় তাঁর বাড়ি যান। পরে সংবাদমাধ্যমে কুণাল জানান, “শুভাদা যে মন্তব্য করেছেন সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত, এর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কোনো সম্পর্ক নেই।“
রাজনৈতিক মহল ভেবেছিল বিষয়টির বোধহয় এখানেই ইতি। কিন্তু না। তখনও আরও বাকি ছিল! বৃহস্পতিবার সকালেই ভোল বদল শুভাপ্রসন্নর। তিনি আবার তেড়েফুঁড়ে ওঠেন। এমনকী, স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীকেও আক্রমণ করেন তিনি! শোনা গিয়েছে কাকশিল্পীর না কি বলেছেন, তিনি হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। এই কথার অর্থ কী! এটা তো মহিলাদের অপমান করা। যাঁরা হাতে চুড়ি পরেন, তাঁরা বিমান ওড়ান, রাষ্ট্রপতি হন, মুখ্যমন্ত্রী হন, মহাকাশে যান আবার সংসারের হালও ধরেন, সন্তান প্রতিপালন করেন। সেখানে হাতে চুরি পরে বসে থাকার কথা বলার অর্থ মহিলাদের অবমাননা করা। এই মন্তব্য তিনি করলেন কীভাবে!
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্য এত উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। বিভিন্ন বিভাগে দেশ-বিদেশের পুরস্কার আসছে। কিন্তু তাঁর কোনও পদ নেই। কোনও খবরের কোনও কোণায় কাজের কারণে তাঁর কোনও না নেই। এই পরিস্থিতিতে খবরে নাম তুলতে না কি মরিয়া কাকশিল্পী। সেই কারণেই বিরোধিতা করে বিতর্ক সৃষ্টি করে সংবাদ শিরোনামে থাকতে চাইছেন তিনি। আর তার জন্য যে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বাংলার শিল্পী-সাহিত্যিকদের এত সম্মান-মর্যাদা দিলেন, তাঁকে আক্রমণ করতেও আটকাচ্ছে না তাঁর। প্রবল গরমে কাকশিল্পী বরং একটু ঠাণ্ডায় থাকুন, পান্তা খান, সঙ্গে সাদা ঠাণ্ডা জল। না হলে কাকেশ্বর কুচকুচেও বাঁচাতে পারবে না!