বাঁকুড়ায় বিজেপির সভার অনুমতি হাই কোর্টের! শুভেন্দুকে ‘হিরো সাজানো’র চেষ্টা কটাক্ষ কুণালের

এদিনের শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ১৭ মে সেখানে কিছু উৎসব অনুষ্ঠান রয়েছে। তাই ওই দিন সভা বা মিছিল করতে দেওয়া যাবে না।

বিরোধী দলনেতা কোনও সভার অনুমতি পাচ্ছেন না এবং পরে হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়ে অনুমতি পাচ্ছেন। এটা কেন হচ্ছে? পুলিশের (Police) যদি মনে হয় মামলার অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন তাহলে সেক্ষেত্রে প্রথমেই সেই অনুমতি (Permission) দিয়ে দেওয়া হোক। এতে বিরোধী দলনেতার ব্যক্তিগত প্রচারের সুবিধা হয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাঁকুড়ায় (Bankura) শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভা ও মিছিলের অনুমতি প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। শুক্রবারই বাঁকুড়ার সিমলাপালে বিজেপির মিছিল ও সভা করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। সভায় থাকার কথা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। আর সেকারণে সিআরপিএফ-এর ব্যবস্থা করতে হবে, এদিন স্পষ্ট করে দেন বিচারপতি। উল্লেখ্য, আগামী ১৭ মে বাঁকুড়ার সিমলাপালে সভা করার কথা রয়েছে শুভেন্দুর। কিন্তু পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। এদিনের শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ১৭ মে সেখানে কিছু উৎসব অনুষ্ঠান রয়েছে। তাই ওই দিন সভা বা মিছিল করতে দেওয়া যাবে না। তবে এদিন বিচারপতি সাফ জানান বেলা তিনটে থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত সভা ও মিছিল হবে।

শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। তাতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, আগামী ১৭ মে বাঁকুড়ার সিমলিপালে স্থানীয় একটি উৎসব রয়েছে। তাই ওইদিন সভা বা মিছিল করতে দেওয়া যাবে না। বিচারপতি প্রশ্ন করেন কী সেই অনুষ্ঠান। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, “সেটা জানি না। পুলিশ বলেছে।” তবে এদিন বিচারপতি আরও জানান, আগামীদিন যেকোনও সভার অনুমতি চেয়ে ১৫ দিন আগে আবেদন করতে হবে। চারদিনের মধ্যে পুলিশ সেই আবেদন সংক্রান্ত মতামত জানাবে। কলকাতা হাই কোর্টের অনুমতির পরই সিমলাপালের সভার জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে বিজেপি।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কি পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে কেউ কেউ থাকছেন যারা ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্বল নিষেধাজ্ঞা জারি করে কোর্টে গিয়ে বিরোধী দলনেতাকে হিরো হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন? যদি সভা হওয়ার হবে। শুভেন্দুর বক্তৃতাকে কে ভয় পায়? তবে এই বিষয়টি নিয়ে আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলব।

 

 

Previous articleপ্রকাশিত হল এএফসি এশিয়ান কাপের সময়সূচী, প্রথম ম‍‍্যাচে ভারতের সামনে অস্ট্রেলিয়া  
Next articleরাজপথে গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল, যানজটে বিরক্ত সাধারণ মানুষ