পদ্ম পালে হাওয়া লাগাতেই ভুল তথ্যে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’! ফাঁ.স করলেন প্রযোজকের আইনজীবী

সিনেমার প্রযোজকের আইনজীবী সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বলছেন। তিনি জানিয়েছেন ধর্মান্তকরণের কোনও সুস্পষ্ট তথ্য নেই। অর্থাৎ পুরো ব্যাপারটাই ভুয়ো।

দেশজুড়ে যে সিনেমা নিয়ে সবথেকে বেশি চর্চা চলছে এই মুহূর্তে , তার নাম ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story)। ছবির প্রযোজক বিজেপি সমর্থক বিপুল অমৃতলাল শাহ (Amritlal Shah) ও পরিচালক সুদীপ্ত সেন(Sudipta Sen)। সিনেমাকে বাংলায় নিষিদ্ধ করা নিয়ে জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন সিনেমায় এমন কিছু আছে যা ধর্মীয় প্ররোচনা দিতে পারে এবং তার থেকে অশান্তির আবহ তৈরি হতে পারে বাংলায়। সেই আশঙ্কা থেকেই পশ্চিমবঙ্গের এই ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী(CM)। ছবিতে কেরলে (Kerala) ৩২ হাজার মেয়ের ধর্মান্তকরণের গল্প প্রকাশ করেছিলেন পরিচালক। তিনি জানান রীতিমতো অনুসন্ধান এবং পড়াশোনা করেই নাকি এই বিষয়কে তুলে ধরা হয়েছে। সত্যিই কি তাই? সিনেমার প্রযোজকের আইনজীবী সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বলছেন। তিনি জানিয়েছেন ধর্মান্তকরণের কোনও সুস্পষ্ট তথ্য নেই। অর্থাৎ পুরো ব্যাপারটাই ভুয়ো। বৃহস্পতিবার এই কথা স্বীকার করে নিলেন ছবিটির প্রযোজকের আইনজীবী হরিশ সালভে (Harish Salvey)।

বাঙালি পরিচালক বারবার দাবি করেছেন এই সিনেমা নিয়ে তিনি গবেষণা করার পর , তা বড়পর্দায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিনেমা মুক্তির পর পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাডুতে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করা নিয়ে কেস গড়িয়েছে কোর্টে। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় শুনানির সময় জানতে চান, ’৩২ হাজার মেয়ের ধর্মান্তকরণ ও জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএসে যোগ দেওয়ার তথ্যের ভিত্তি কী?’ জবাবে প্রযোজক তথা বিজেপি সমর্থক বিপুল অমৃতলাল শাহের আইনজীবী হরিশ সালভে জানান, ৩২ হাজার মেয়ের ধর্মান্তকরণের কোনও তথ্য-প্রমাণ নেই। তাই এ বিষয়ে সাধারণ দর্শকদের মনে যাতে ভুল কোনও ধারণা না জন্মায় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ছবির গল্পের সঙ্গে যে বাস্তবের মিল নেই সেই সংক্রান্ত বিধি সম্মত সতর্কীকরণ শনিবার বিকেল পাঁচটার মধ্যেই জুড়ে দেওয়া হবে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, কর্নাটক বিধানসভায় হিন্দুত্বের পালে হাওয়া লাগাতেই ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে ধর্মান্তকরণের এক অবাস্তব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাই বারবার এই সিনেমার সমর্থনে কথা বলেছেন মোদি সহ বিজেপি নেতৃত্বরা। যদিও এত কিছু করেও কর্নাটকে (Karnataka) সলিল সমাধি গেরুয়া শিবিরের।

 

 

Previous articleজীবনের প্রথম বড় পরীক্ষাতেই বাজিমাত! কী প্রতিক্রিয়া মেধাতালিকায় শীর্ষে থাকা পড়ুয়াদের?
Next articleদলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন: ইমরানকে কড়া বার্তা পাক প্রেসিডেন্টের