২০০০ টাকা বাতিল! ‘পাগলা দাশুর রাজত্বকালের সিদ্ধান্ত’ বলে কটা.ক্ষ রাজনৈতিক মহলের

গতবার নোটবন্দিতে বলা হয়েছিল, কালো টাকা উদ্ধার হবে এবং জ.ঙ্গিদের টাকা জোগাড় বন্ধ হবে। কোনওটাই হয়নি। কিছু লোক ব্যাঙ্কলুঠ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।

বাজার চলতি দু হাজার টাকার নোট হঠাৎ করে বাতিলের (Two thousand rupees note banned) ঘোষণায় অবাক হয়েছে দেশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় RBI এর তরফে ঘোষণা করা হয় আগামী ১ অক্টোবর থেকে দেশ জুড়ে বাতিল ২০০০ টাকার নোট। এরপরই ফিরেছে ২০১৬ সালের নভেম্বরের স্মৃতি। আচমকা নোট বাতিল দেশের সর্বস্তরের মানুষকে সমস্যা ফেলেছিল। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চলেছে মোদি সরকার (Modi Government)। এরপরই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করে সুর চড়িয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। মোদির রাজত্বকালকে পাগলা দাশুর শাসনকাল বলে কটাক্ষ বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty)। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলছেন সাধারণ মানুষকে নিয়ে ছেলেখেলা করছে কেন্দ্র।

বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ”বিষয়টি খুব রহস্যজনক। হঠাৎ করে মোদি নোট বন্দি ঘোষণা করে কেন চালু করলেন আর কেনই বা সাত বছরের মাথায় সেই নোট বাতিল করলেন তার কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।” পাশাপাশি বিজেপি সরকারের আমলকে তুঘলকি শাসন এবং পাগলা দাশুর রাজত্বকাল বলে কটাক্ষ করেন সুজন চক্রবর্তী। এই বিষয়ে তীব্র আক্রমণ শানান তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। টুইটে তিনি লেখেন, ”গতবার নোটবন্দিতে বলা হয়েছিল, কালো টাকা উদ্ধার হবে এবং জঙ্গিদের টাকা জোগাড় বন্ধ হবে। কোনওটাই হয়নি। কিছু লোক ব্যাঙ্কলুঠ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আর ব্যাঙ্কের লাইনে সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার আবার অদূরদর্শী কাজে সাধারণ মানুষকে নিয়ে ছেলেখেলা করছে।” তৃণমূলের তরফে সরকারি অ্যাকাউন্ট থেকে টুইটে বলা হয়, “কালো টাকা দেশ থেকে দূর হবে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৬ সালে ২ হাজার টাকার নতুন নোট চালু করেছিল। সাত বছর পর এবার ২ হাজারের নোটও তুলে নেওয়ার মতো একটি সিদ্ধান্ত। আবার একটি মোদিনমিক মাস্ট্রারস্ট্রোক।”

এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই প্রসঙ্গে একটি টুইট করে তৃণমূল নেতৃত্বকে আক্রমণ করলে পাল্টা জবাব দেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। শুভেন্দুর টুইটকে ট্যাগ করে কুণাল লেখেন, “ওওও পাল্টিবাজ শুভেন্দু, গতবার নোটবন্দির সময় তোমার প্রতিক্রিয়া কী ছিল, মনে পড়ে? তখন কী কী বলে নিন্দে করছিলে? কেন্দ্রকে কী কী বলেছিলে? আজ সিবিআইয়ের এফ আই আর নেমড প্রতিষ্ঠিত তোলাবাজ হিসেবে গ্রেফতারি এড়াতে দলবদল করেই উল্টো সুর? নির্লজ্জ বেহায়া একেই বলে।”

 

Previous articleম‍্যাচ জিতলেও লজ্জার নজির গড়লেন রাজস্থান ব‍্যাটার জস বাটলার
Next articleসত্যমেব জয়তে: সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার আগে বার্তা সমীর ওয়াংখেড়ের