যোগীরাজ্যে ছাত্রীকে গণধ*র্ষণের পর ছাদ থেকে ফেলে খু*ন

প্রতীকী ছবি

উন্নাও, হাথরস গণধর্ষণকাণ্ডে শিরোনামে উঠে এসেছে বিজেপি শাসিত যোগীরাজ্য। কিন্তু তারপরও থেমে থাকেনি মেয়েদের ওপর নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা। এবার স্কুলের মধ্যেই গণধর্ষণের পর দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে খুন করার অভিযোগ উঠল যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে অযোধ্যায়। মৃত ছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলের ম্যানেজার, প্রিন্সিপাল এবং স্পোর্টস টিচারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ সহ একাধিক ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, ‘স্কুলে গরমের ছুটি চলা সত্ত্বেও শুক্রবার মেয়েকে স্কুলে ডেকে পাঠান প্রিন্সিপাল। সেখানেই তাকে গণধর্ষণ করে স্কুলের ম্যানেজার ব্রিজেশ যাদব এবং স্পোর্টস টিচার অভিষেক কান্নুজিয়া। এরপর দোষ ঢাকতে তাঁরা ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেয় আমার মেয়েকে।’

আরও পড়ুন:উত্তরপ্রদেশ আছে উত্তরপ্রদেশেই, নির্ল.জ্জ নৈরাজ্যে মর্মা.ন্তিক কাণ্ড!

পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম থেকেই ঘটনাটি নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে অযোধ্যার মউ শিয়ালা এলাকার ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য ছিল, দোলনা থেকে পড়ে গিয়েই ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে তাদের মিথ্যা ধরে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, স্কুলের ছাদ থেকে পড়েই ১৫ বছরের ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। এমনকী তথ্য প্রমাণ ঢাকতে ছাদের নির্দিষ্ট জায়গার রক্তের দাগও মুছে ফেলা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শনিবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য।
অযোধ্যার পুলিশ সুপার মধুবন সিং বলেন, ‘পড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুল প্রিন্সিপাল , স্কুলের ম্যানেজার এবং স্পোর্টস টিচারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, খুন, তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং ফৌজদারি ষড়যন্ত্র এবং পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে।’
তবে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, সেব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে চাননি পুলিশ সুপার। তাঁর কথায়, ‘ময়নাতদন্তের যে রিপোর্ট আমাদের কাছে এসেছে, তা এতটাই অস্পষ্ট, পড়া যাচ্ছে না। আসল রিপোর্ট পেলে তবেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’

 

Previous articleনিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন! প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধন
Next articleভ*য়াবহ তুষারধস পাকিস্তানে! অন্তত ১০ জনের মৃ*ত্যু, আ*হত আরও অনেকে