স্নাতক হতে সময় লাগবে ৪ বছর, জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর!

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু টুইটারে লেখেন, একটি বিভ্রান্তমূলক খবর প্রচারিত হচ্ছে যে রাজ্য সরকার ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি মেনে নিয়েছে। এটিকে সত্যের অপলাপ বললে কম বলা হবে।

সমস্ত জল্পনার অবসান। এবার আর তিন বছর নয়, পড়ুয়াদের স্নাতক (Graduate) হতে চার বছর সময় দিতেই হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নয়া নিয়ম চালু হচ্ছে রাজ্যে। জাতীয় শিক্ষানীতি (National Edication Policy) কার্যকর করার ক্ষেত্রে রাজ্যের আপত্তি থাকলেও, রাজ্যের পড়ুয়ারা যাতে কোনও অংশে পিছিয়ে না পড়েন, সে কথা মাথায় রেখেই এই নিয়ম চালু করা হচ্ছে। বুধবার শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে এই নিয়মের কথা জানানো হয়েছে। তিন বছরের বদলে চার বছর ধরে চলবে স্নাতকের পঠনপাঠন। আর চার বছর পরই সরাসরি গবেষণায় অংশ নিতে পারবেন পড়ুয়ারা।

এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu) টুইটারে লেখেন, একটি বিভ্রান্তমূলক খবর প্রচারিত হচ্ছে যে রাজ্য সরকার ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি (National Education Policy) মেনে নিয়েছে। এটিকে সত্যের অপলাপ বললে কম বলা হবে। রাজ্য সরকার একটি সম্পূর্ণ পৃথক স্টেট এডুকেশন পলিসি তৈরি করেছে, যেখানে সমস্ত ‘বেস্ট প্র্যাকটিসেস’ বা ভালো ব্যবস্থাগুলিকে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৪ বছরের ডিগ্রি কোর্স চালু না করলে আমাদের ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রীরা সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় অংশই নিতে পারতো না বলেও জানাচ্ছেন ব্রাত্য বসু। তিনি আরও জানিয়েছেন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায়, সে কারণেই আপাতত কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করা হচ্ছে না। মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এবং পরিমার্জনের কাজ আমরা জরুরি ভিত্তিতে চালাব, যাতে সম্ভব হলে এই ব্যবস্থাটিকেও আমরা এই বছরই চালু করতে পারি।

পাশাপাশি, কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তি (Online Admission) প্রক্রিয়া থেকেও পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। চলতি বছর কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তি নয়, গত বছরের মতোই ভর্তি প্রক্রিয়া হবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি অনলাইনেই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে। এমনই নির্দেশিকা জারি হচ্ছে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে। এদিন উচ্চশিক্ষা দফতরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কমিটির সুপারিশ মেনেই স্নাতক স্তরে চার বছরের পাঠক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৪ বছরের ডিগ্রি কোর্স চালু না করলে আমাদের ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রীরা সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় অংশই নিতে পারতো না। এক্ষেত্রে তাদের বাইরের রাজ্যে গিয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়ত। যারা আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল নয় তারা বিপদে পড়ত। এই সমস্ত কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সব সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে এই নীতি কার্যকর হবে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই কার্যকর হচ্ছে এই নতুন নিয়ম অর্থাৎ চলতি বছর যে সব পড়ুয়া উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন, তাঁরা এই নয়া নীতির আওতায় পড়বেন। জাতীয় শিক্ষানীতিতেও এই ৪ বছরের স্নাতক কোর্সের কথা উল্লেখ রয়েছে। এক্ষেত্রে সেই একই পদ্ধতি চালু করা হলেও, শিক্ষানীতি নিয়ে কেন আপত্তি, সেই প্রশ্ন সামনে আসতে শুরু করেছে। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে কলেজে ভর্তির যে প্রক্রিয়া চালু করার কথা ছিল, তা আপাতত করা হচ্ছে না। প্রতিটি কলেজে আলাদাভাবে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া চালু থাকবে অর্থাৎ পুরনো নিয়মেই ভর্তি হতে পারবেন পড়ুয়ারা।

 

 

 

 

Previous articleসরকার অনুমতি না দিলে ভারতে বিশ্বকাপ খেলবে না পাকিস্তান
Next articleঋতুচক্র স্বাভাবিক, দেবী আগমনে সেই বার্তা পাথুরিয়াঘাটা ৫-এর পল্লির!