চুরি করতে এসে চোর ধরা পড়তেই জামাই আদরে ভরপেট খাওয়ালেন গৃহকর্ত্রী!

চুরি করতে এসে ধরা পড়ে গেল চোর! তবে প্রহার নয়, বদলে মিলল ভরপেট আহার। তাও আবার জামাই আদরে ভাত খাওয়ালেন স্বয়ং গৃহকর্ত্রী। শুধু ভাত নয়, সঙ্গে আবার লাউ চিংড়ি, মাছের ঝোল। এমন আপ্যায়ন পেয়ে হতবাক চোরও। চক্ষুচড়কগাছ প্রতিবেশীদেরও!

আরও পড়ুন:ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে ক.ড়া পদক্ষেপ! ফের আদালতের তীব্র ভ.র্ৎসনার মুখে CBI
মালবাজার মহকুমার মাল ব্লকের চেল কলোনির এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই চারিদিকে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। পুলিশ গৃহকর্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বলে খবর। ধৃতের নাম অমর সাহানি। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
নীয় সূত্রে খবর, চুরি করে জিনিসপত্র সমেত বমাল ধরা পড়ে চোর অমর সাহানি। তখন এলাকার বাসিন্দারা চোরকে মারতে উদ্যত হলে গৃহকর্ত্রী জ্যোৎস্না বর্মণ বাধা দেন। আর চোরের হাতের বাঁধন খুলে দেন। তারপর বাড়ির বারান্দায় চোরকে বসিয়ে থালা ভর্তি ভাত, মাছের ঝোল, কচুরশাক, ডাল, লাউ চিংড়ি খাওয়ান। এই ঘটনা দেখে এলাকার বাসিন্দারা হতবাক। এমন ঘটনা ঘটবে তাঁরা ভাবতে পারেননি। বরং মেরে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে এটাই দস্তুর। সেখানে কিনা চব্য–চষ্য খানাপিনা!‌
গৃহকর্ত্রী জ্যোৎস্না বর্মণ বলেন, ‘‌ওই যুবক বারবার বলছিল খিদের জ্বালায় চুরি করেছি। তাই ওর খিদে মেটানোর জন্য পেট ভরে খাওয়ালাম। ওই যুবক চোর অবশ্য টাকা ফেরত দিলেও সোনার চেনটি ফেরাতে পারেনি। তাই একটি ছোট ঘরে ওকে আটকে রেখেছিলাম। পরে খবর পেয়ে পুলিশ আসে। তাকে নিয়ে যায়।’‌ মাল থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ওই চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চুরি যাওয়া সোনার চেনটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
চুরি করতে আসা যুবক এব্যাপারে জানান, আমি এবং আর একজন এই সব এলাকায় লোহা টিন কুরাতে এসেছিলাম। আমার সঙ্গে আর একজন যে সঙ্গি ছিলো, সে এইসব কাজ করেছে। তবে স্থানিয়দের বক্তব্য সব মিথ্যে কথা বলছে এই যুবক। সকালেও অন্য একজায়গায় লোহার তার চুরি করতে এসে মারধরও খেয়েছে সে। এই সব যুবকেরা নেশায় আসোক্ত। এই ভাবে বিভিন্ন বাড়িতে চুরি করে যা পায়, সেইসব জিনিস বিক্রি করে নেশা করে বলে স্থানিয়দের অভিযোগ।

 

Previous articleব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে ক.ড়া পদক্ষেপ! ফের আদালতের তীব্র ভ.র্ৎসনার মুখে CBI
Next articleআন্দোলনরত কুস্তিগিরদের নিয়ে প্রশ্ন করতেই দৌড় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর! কটাক্ষ করে টুইট কংগ্রেসের