লাক্ষাদ্বীপে আটকে বর্ষা, তাপপ্রবাহের সত.র্কতার মাঝেই হঠাৎ ঝড় জেলায় জেলায়

দাঁতনে রেল দুর্ঘ*টনার ক্ষ*তিগ্রস্তদের জন্য তৈরি রিলিফ ক্যাম্প ঝড়ে ভেঙে গেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। কলকাতার সল্টলেকে অল্প সময়ের জন্য হলেও বৃষ্টি (Rain in Saltlake) হয়েছে বলে খবর।

জেলায় জেলায় বাড়ছে গরম, হাওয়া অফিসের (Weather Department)কর্তাদের আশঙ্কা আগামী ১০ জুন পর্যন্ত রাজ্যের ১৪ জেলায় তাপপ্রবাহের (Heat Wave) সতর্কতা থাকবে। ভ্যাপসা গরম আর ঘর্মাক্ত পরিবেশে নাজেহাল বঙ্গবাসী। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Department) বলছে এখনই বর্ষা (Rainy Season)আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবু তার মাঝে বিক্ষিপ্ত ঝড় বৃষ্টির খবর এল বঙ্গে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ আচমকাই হুগলির আরামবাগে (Arambagh, Hooghly)ঝড় শুরু হয়। লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভাস্থল। অন্যদিকে দাঁতনে রেল দুর্ঘটনার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তৈরি রিলিফ ক্যাম্প ঝড়ে ভেঙে গেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। কলকাতার সল্টলেকে অল্প সময়ের জন্য হলেও বৃষ্টি (Rain in Saltlake) হয়েছে বলে খবর।

বাংলায় বর্ষা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’-এর ইঙ্গিত। সোমবারই নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছিল আরব সাগরে । মঙ্গলে তা শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মৌসম ভবন (IMD)জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । কেরলে বর্ষা কবে আসবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। পাশাপাশি পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কেরলের বর্ষার সঙ্গে বঙ্গে বৃষ্টির কোনও যোগসূত্র নেই। অর্থাৎ অন্য রাজ্যে বৃষ্টির মরসুম আসছে না বলে যে এই রাজ্যেও দেরি হবে এমন কোনও কথা নেই। তবে আপাতত লাক্ষাদ্বীপে বর্ষা আটকে থাকায় যত বিপত্তি শুরু।

ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপ আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টায় গভীর থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এখান থেকেই আন্দামানে বর্ষা এল বলেই মনে করছে হাওয়া অফিসের একাংশ। আজ মঙ্গলবার পুরুলিয়া,ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় অস্বস্তি থাকবে। হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়াতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে ‘বিপর্যয়’ – এর ল্যান্ডফল আপাতত স্পষ্ট নয়। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আরব সাগরেই বন্দি থাকবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। ফলে বাংলায় বর্ষা আপাতত অনিশ্চিত।

 

Previous articleWTC ফাইনালের আগে চোট পেলেন ভারত অধিনায়ক, করতে পারলেন না অনুশীলন
Next articleবিহারে গোরস্থানে ক*বরে লুকিয়ে দেদার বিকোচ্ছে ম*দ