কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে চ্যা.লেঞ্জ! শনিবারেই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

কোথায় কত পুলিশ লাগবে, নির্বিঘ্নে ভোট করাতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কী কী পদক্ষেপ করা দরকার, তা রাজ্যের কাছে জানতে চাইবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এটাই দস্তুর।

শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই জল্পনা বাড়ছিল, শনিবার সকালে গোটা ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গেল। রাজ্যের সব জেলার সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী(CRPF) মোতায়ন করে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election) করার যে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা আদালত (Calcutta High Court), তার বিরোধিতা করে এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West Bengal State Election Commission) ও রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। শনি এবং রবিবার সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ থাকায় ই-ফাইলিং এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।

৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে মনোনয়ন পর্ব ঘিরে বিক্ষিপ্ত অশান্তিকে ঘিরে বিরোধীরা বড় ইস্যু করে তোলার চেষ্টা করছে বলে, আগেই তোপ দেগেছিল তৃণমূল (TMC)। যেভাবেই হোক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট পরিচালনা করার যে চক্রান্ত করছে রাম বাম জোট ,তার পর্দা ফাঁস করেছিল ঘাসফুল শিবির। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাইকোর্টের তরফে বলা হয় রাজ্যের সব জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে রাজ্যের ভোট রাজ্য পুলিশ করবে এটাই স্বাভাবিক, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে এসে বাংলায় বিজেপি ঠিক কোন কার্যসিদ্ধি করতে চাইছে ? হাই কোর্টের নির্দেশ ছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চাইতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। সেই নির্দেশের পর গতকালই ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। সূত্রের খবর নবান্ন মনে করছে , কোথায় কত পুলিশ লাগবে, নির্বিঘ্নে ভোট করাতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কী কী পদক্ষেপ করা দরকার, তা রাজ্যের কাছে জানতে চাইবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এটাই দস্তুর। কিন্তু হাই কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্যকে এড়িয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

 

 

Previous articleকেন্দ্রের ব.ঞ্চনাকে হাতি.য়ার করেই পঞ্চায়েতে প্রচার তৃণমূলের, আজ কালীঘাটে নির্বাচনী বৈঠক
Next articleপঞ্চায়েতেও দলবদলুদের দাপট, টিকিট! ধর্ণায় খোদ বিজেপি নেত্রী