ফের মুখ পু.ড়ল মোদি সরকারের! উচ্চমাধ্যমিকেও স্কুলছুটের তালিকার উপরে একাধিক ডবল ইঞ্জিন রাজ্য

সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যের স্কুলশিক্ষা সচিবদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের আধিকারিকদের বৈঠকে এই পরিসংখ্যান সামনে এসেছে।

ফের সংবাদ শিরোনামে ডবল ইঞ্জিন সরকার (Double Engine Govt) পরিচালিত একাধিক রাজ্য। এবার স্কুলছুটের বিচারে এগিয়ে রয়েছে মোদি সরকারের (Modi Govt) নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh), মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) এবং গুজরাট (Gujrat)। সম্প্রতি এক রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, মাধ্যমিক (Madhyamik) স্তরে পাশের পর ২০২২ সালে সারা দেশে স্কুল-ছুট পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল সাড়ে ৫৮ লক্ষ। তবে মাধ্যমিক বা দশম শ্রেণিতে পাশ করার পর ৩৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রী একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিই হয়নি। আর সাড়ে ২৩ লক্ষ পড়ুয়া দ্বাদশে পড়াশোনার পরেও উচ্চমাধ্যমিক (Hugher Secondary) পরীক্ষায় বসেনি। বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ১০ লক্ষ পড়ুয়া অবশ্য মুক্ত বিদ্যালয়ের মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে। তবে সব দিক দিয়ে বিচার করলে দেখা যায় উচ্চমাধ্যমিক স্তরে দেশে গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও মাত্রাতিরিক্ত কম। তবে বাংলার বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে বিজেপি সরকার তর্জন গর্জন করলেও বাংলা যে শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক রাজ্যকেই টেক্কা দেবে তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।

সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যের স্কুলশিক্ষা সচিবদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের আধিকারিকদের বৈঠকে এই পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। আর সেই রিপোর্টে একাদশ শ্রেণীতে স্কুলছুটের নিরিখে দেশের প্রথম পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাট। একাদশ ও দ্বাদশে স্কুল-ছুটের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিহারেও ২০২২-এর অগস্ট পর্যন্ত ছিল বিজেপি-জেডিইউ সরকারই। পাশাপাশি দ্বাদশে স্কুলছুটে চতুর্থ স্থানে থাকা কর্নাটকেও ক্ষমতায় ছিল বিজেপিই। তবে সেই তুলনায় বড় রাজ্যগুলির নিরিখে স্কুলছুটের হারে পশ্চিমবঙ্গের স্থান অনেকটাই ভালো। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের কর্তাদের মতে, দেশের সিংহভাগ রাজ্যের বোর্ড অনুমোদিত উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের সংখ্যা পড়ুয়াদের তুলনায় অনেকটাই কম। আবার যেসব রাজ্যের স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন, সেই সব শিক্ষকদের অনেকেই প্রশিক্ষণহীন। এছাড়াও দেশের বড় রাজ্যগুলির মধ্যে আটটি রাজ্যে দশম ও দ্বাদশে পৃথক বোর্ড। প্রতিটি বোর্ডের পরীক্ষা ও সিলেবাস এবং পড়াশোনার মানে পার্থক্য রয়েছে।

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলিতে আসন ঘাটতি নেই বরং পড়ুয়ার তুলনায় সেই আসন উদ্বৃত্ত। পাশাপাশি পড়ুয়া-বান্ধব পরিকাঠামোতেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়। সে জন্যেই বাংলায় স্কুলছুটের প্রবণতা অনেকটাই কম। তবে নিজেদের মুখ বাঁচাতে ডবল ইঞ্জিন সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের (Subhas Sarkar) সাফাই, দশমের তুলনায় একাদশ ও দ্বাদশে স্কুলে আসন সংখ্যা কমও থাকে। আর যারা উচ্চমাধ্যমিক পড়ছে না, তারা সবাই ভবঘুরে হয়ে যাচ্ছে, এমনও নয়। অনেক পড়ুয়াই প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় ঋণ নিয়ে বহু স্টার্ট-আপ শুরু করেছে। লোনের টাকার পরিমাণ দেখলেই সেটা বোঝা যায়। তবে বিজেপি যতই সাফাই দিক না কেন ডবল ইঞ্জিন সরকারের আমলে শিক্ষাক্ষেত্র যে একেবারে তলানিতে এসে পৌঁছেছে তা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক মহল।

 

 

 

Previous articleভারতে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে মোদির সফরের মাঝেই সরব ওবামা
Next articleকাশ্মীরে জ.ঙ্গি অনুপ্রবেশ আটকালো ভারতীয় সেনা, মুখোমুখি সংঘ.র্ষে নিহ.ত পাক জ.ঙ্গি!