বেসরকারিকরণের প্র.তিবাদ! এয়ারপোর্ট ইউনিয়ন নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে এককাট্টা বিরোধীরা

ইতিমধ্যে, নির্বাচনের ভোটার তালিকা, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া, প্রচার ইত্যাদি একাধিক বিষয়ের নির্ঘন্ট প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, আগামী ৬ জুলাই মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে, স্ক্রুটিনি হবে ৭ জুলাই।

বছর ঘুরলেই চব্বিশের নির্বাচন। ইতিমধ্যে ধীরে ধীরে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। আসন্ন নির্বাচনে যেভাবে হোক দিল্লির মসনদ থেকে সরাতে হবেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। আর সেই লক্ষেই তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এককাট্টা বিরোধীরা। তবে চব্বিশের নির্বাচনের আগে এয়ারপোর্ট ইউনিয়ন নির্বাচনের (Airport Union Election) মাধ্যমে বিজেপিকে বড়সড় ধাক্কা দিতে তৈরি বিরোধীরা (Opponents)। আর সেখানে চালকের আসনে রয়েছে কলকাতা (Kolkata)। তবে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পরপরই তৃণমূলপন্থী ইউনিয়নের নেতারা জানিয়েছেন, বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের (Privarization) বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে। আমরা চাই কেন্দ্রের সরকার কর্মী স্বার্থের দিকে নজর দিক। বিশেষত, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসতেই একের পর এক পরিবহণ ব্যবস্থাকে বেসরকারিকরণের পথে হেঁটেছে। সেখানে যেমন রয়েছে বিমান, বাদ যায়নি রেলও। আর কেন্দ্রের এই তুঘলকি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই সোচ্চার বিরোধীরা। আগামী ২৮ অগাস্ট নির্বাচন। আর তারপরেই পরিষ্কার হয়ে যাবে এয়ারপোর্টের ইউনিয়ন কাদের দখলে থাকবে?

ইতিমধ্যে, নির্বাচনের ভোটার তালিকা, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া, প্রচার ইত্যাদি একাধিক বিষয়ের নির্ঘন্ট প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, আগামী ৬ জুলাই মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে, স্ক্রুটিনি হবে ৭ জুলাই। এরপর ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত প্রচার পর্ব চলবে। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, এয়ারপোর্ট অথরিটি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে। তাদের লড়াই কামগড় ইউনিয়নের সঙ্গে। তবে ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ এবং কামগড় ইউনিয়ন এক হয়ে এই নির্বাচনে সামিল হয়েছে।

তবে নির্বাচনের আগে এয়ারপোর্ট অথরিটি ইমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (Airport Authority Employees Union) তরফে সাফ জানানো হয়েছে, নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে, ফলে প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। এবারও আমাদের ইউনিয়ন ক্ষমতায় আসতে চলেছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। এই নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কড়া বার্তা দিতে প্রস্তুত তারা। পাশাপাশি ইউনিয়নের আরও দাবি, শ্রমিক, কর্মচারী, খেটে খাওয়া মানুষের দিকে তাকাক কেন্দ্র সরকার। দেশের বিমান পরিষেবা আরও উন্নতি হোক, আমরা সবরকম ভাবে সহযোগিতা করব। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারিকরণ করলে তার বিরুদ্ধে আমরা রাস্তায় নামবই।

 

 

Previous articleদ.লিত মহিলার সৎকারে বাধা উচ্চব.র্ণের! দে.হ কাঁধে ২ কিলোমিটার হাঁটলেন পুলিশকর্মীরাই
Next articleইডি হাজিরার নথিপত্র জোগাড়ে ব্যস্ত, শেষ লগ্নের প্রচারে নেই সায়নী