মোদি সরকারের আয়ু আর ৬ মাস: তো.প দেগে মহাজোট নিয়ে বার্তা মমতার

খাতায়-কলমে লোকসভা নির্বাচনের এখনো এক বছর বাকি থাকলেও এই নির্বাচন এগিয়ে আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন এক বছর নয় ছয় মাসের মধ্যেই হতে পারে লোকসভা নির্বাচন। আর এই বিজেপি সরকারের আয়ুও আর মাত্র ৬ মাস। পাশাপাশি এই দিন সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিরোধীদের মহাজোট নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তোপ দাগলেন কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের একনায়কত্ব নিয়ে।

এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, এক বছর পরেই লোকসভা নির্বাচন৷ বিরোধীদের যে জোট আলোচনা শুরু হয়েছে, তা শেষ পর্যন্ত কতটা কার্যকরী হবে৷ তখনই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এক বছর নয়, ভোট হতে পারে ছ মাস পরেই৷ তবে বিরোধীদের জোট নিয়ে খুব বেশি বাক্যব্যয় করতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি শুধু বলেন, একদিনে সবকিছু হয় না৷ পাশাপাশি বিরোধীদের প্রথম দফার বৈঠকের পর আপ এবং কংগ্রেসের মতপার্থক্য সামনে এসেছিল। যদিও এই সমস্যাও মিটে যাবে বলে আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী। এ দিনও তিনি জোরের সঙ্গে দাবি করেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদি সরকারের আয়ু আর মাত্র ছ’ মাস।’

এরপরই বিজেপি সরকারকে তোক দেখে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি যদি সত্যি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তো তাহলে নিজের ঘর থেকে তা শুরু করতে পারত। প্রথমে নিজেদের লোকেদের ধরতে পারত। অমিত শাহের ছেলে এত টাকা করলো কি করে? তার হিসেব আছে পিএম কেয়ারের টাকা কোথায় গেল? মহারাষ্ট্রে যাদেরকে নেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের মামলা আছে। লালুপ্রসাদের পর এখন তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে সিবিআই করছে। বাংলা থেকে ওরা এটা শুরু করেছে। ওরা ভীষণভাবে বাংলা বিরোধী। বাংলায় বিজেপি সভাপতি বলছে পুলিশকে লাঠি দিয়ে মারো। তোমাদের নেতারা সারদার টাকা নিয়ে বসে আছে তাদের বিরুদ্ধে কি করেছো? বিজেপি করলেই ওয়াশিং মেশিন ভাজপা। আজকে রাহুলের সংসদ পদ কেড়ে নিয়েছে ওরা। দেশজুড়ে একনায়কত্ব চালাচ্ছে ওরা।

এছাড়াও বঙ্গে রামধনু জোটের বিরুদ্ধে সড়ক হয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “রাম-বাম-শ্যাম নতুন সমীকরণ হয়েছে এখানে। বামেদের বলবো ভালো করে দেখুন কাদের আপনারা সমর্থন করছেন? কোন দাঙ্গাবাজদের? আরেকটা আইএসএফ জুটেছে, ওদের নির্বাচনী প্রতীকটা বিহারের একটা দলের। বিজেপির টাকায় চলছে। বিজেপি একটা প্রতারক দল। ভোটের আগে ডবল ইঞ্জিনের কথা বলে ভোট পেরোলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে।” বাম কংগ্রেস সমীকরণ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, “সিপিএম আর কংগ্রেস যে কথা দিল্লিতে বলছে রাজ্যেও তাঁদের ওটা মেনে চলা দেওয়া উচিত। আমরা শুধু একাই মানবো এটা ঠিক নয়। আমি মনে করি বাম ও কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এটাকে মেনে চলবে। কিন্তু এখানকার নেতারা নিজেদেরকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বাবা ভাবে।”

আরও পড়ুন- সংগঠনে নয়, কুৎসায় বড্ড বেড়েছে সিপিএম: তী.ব্র আ.ক্রমণ তৃণমূল সুপ্রিমোর

Previous articleসংগঠনে নয়, কুৎসায় বড্ড বেড়েছে সিপিএম: তী.ব্র আ.ক্রমণ তৃণমূল সুপ্রিমোর
Next articleমা বোনদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে রুখে দাঁড়ানোর পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর