পড়ুয়াদের ঘাড়েও জিএসটির বোঝা! কেন্দ্রের ‘তুঘলকি সিদ্ধান্তের’ প্রতিবাদে সরব তৃণমূল

রবিবার কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, হস্টেলে পেইং গেস্ট হিসেবে থাকার জন্য বসতে চলেছে ১২ শতাংশের জিএসটি। ভাড়ার উপর বসবে এই জিএসটি। অদ্ভুত অজুহাত খাড়া করা হয়েছে এর সপক্ষে।

হস্টেলের আবাসিক অথবা পেয়িং গেস্টে (Paying Guest) হিসেবে থাকতে গেলে এবার থেকে মোটা টাকা গুনতে হবে। রবিবারই এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে পড়ুয়াদের ঘাড়েও এবার জিএসটির (GST) বোঝা চাপিয়ে দিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। এদিকে যখন বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার (Mamata Banerjee Government) প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত একের পর প্রকল্পের ঘোষণা করে পড়ুয়াদের (Students) সামনে দিগন্ত খুলে দিচ্ছে, সেখানে জোর করে জিএসটি চাপিয়ে দিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে এক অদ্ভুত প্রতিবন্ধকতার তৈরির চেষ্টা করছে কেন্দ্র। চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত খরচ। মোদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোচ্চার তৃণমূল। সোমবার কেন্দ্রের তুঘলকি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে টুইট করে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের (All India Trinamool Congress) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিক্ষার্থীদের প্রতি মোদি সরকারের (Modi Govt) এমন অবহেলা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। কেন্দ্র রীতিমতো নির্লজ্জভাবে পড়ুয়াদের কাঁধে আরও বেশি করে বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি তৃণমূলের আরও অভিযোগ, হোস্টেল এবং পিজির ভাড়ার উপর ১২ শতাংশ জিএসটি চাপিয়ে দেওয়ার কারণে সমস্ত ছাত্রছাত্রী এবং তাঁদের পরিবারের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। নরেন্দ্র মোদি দেশের একাধিক প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি, উল্টে পড়ুয়াদের উপর জিএসটির বোঝা চাপিয়ে তাঁদের আরও কোণঠাসা করে দেওয়া হচ্ছে।

রবিবারই দুই পৃথক মামলায় এমনই রায় দেয় অথরিটি অফ অ্যাডভান্স রুলিং-এর (AAR) বেঙ্গালুরু বেঞ্চ। বলা হয়েছে, হস্টেলকে আবাসিক ইউনিটের গোত্রে ফেলা যায় না। তাই সেখানে বসবাসকারীদের GST ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়। AAR আরও জানিয়েছে, যাঁরা হস্টেলে থাকেন বা পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকেন, তাঁদের GST ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়। বসবাসের জন্য দেওয়া ভাড়াবাড়ির সঙ্গে সেগুলির তুলন চলে না। তাই জমির মালিককে ভাড়ার সঙ্গে GST-ও দিতে হবে। সেই মর্মে আবেদনকারীকে নথিভুক্ত করতে হবে নাম। ফলে হস্টেলে থাকতে গেলে এখন থেকে পড়ুয়াদেরও ১২ শতাংশ GST দিতে হবে। লক্ষণীয় ২০২২ সালের ১৭ জুলাই পর্যন্ত জিএসটি ছাড় ছিল হস্টেল, পিজি ও গেস্ট হাউসে। এখন সেই ছাড় তো দূরের কথা, অতিরিক্ত ১২ শতাংশ জিএসটির বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার আয়োজন পাকা। স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত অসুবিধের মধ্যে পড়বে ছাত্রসমাজ। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য যাঁরা দূর থেকে আসেন শহরাঞ্চলে তাঁরা গভীর সংকটে পড়বেন কেন্দ্রের এই তুঘলকি সিদ্ধান্তের ফলে।

 

 

Previous articleভারতীয় দলের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রসাদ, কী বললেন তিনি?
Next articleআলিপুরদুয়ার ও পুরুলিয়ায় বিমানবন্দর গড়বে রাজ্য, বিধানসভায় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর