ফেসবুক দেখে হাসপাতালে ছুটলেন তৃণমূল বিধায়ক, রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন মুমুর্ষ রোগীর

ফেসবুক পোস্ট চোখে পড়ে ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাসের। সেই পোস্ট দেখা মাত্র নিজে ফোন করে রোগীর পরিবারকে জানান, তিনি রক্ত দেবেন

প্রয়োজনীয় ‘ও’ পজিটিভ রক্তের। কিন্তু সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে মজুত ছিল না ওই গ্রুপের রক্ত। কাছাকাছি ছিল না আর কোনও হাসপাতাল বা ব্লাড ব্যাংক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের তালদির বাসিন্দা হতদরিদ্র দুলাল মণ্ডল। সোমবার রাতে আচমকা তাঁর স্ত্রী মাধবী অসুস্থ হয়ে পড়েন।
দ্রুত ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান খুব দ্রুত রক্ত দিতে হবে। মাধবী রক্তের গ্রুপ ‘ও’ পজিটিভ। কিন্তু হাসপাতালে ওই গ্রুপের রক্ত ছিল না। অথচ জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীকে রক্ত দিতে না পারলে পরিণতি খারাপ হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিতে থাকে হাসপাতাল।

দুলাল ও মাধবীর ছেলেরা ‘ও’ পজিটিভ রক্তের জন্য এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। কিন্তু কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না ওই রক্ত। পরিচিতদের মধ্যেও কারও ওই গ্রুপের রক্ত নয়। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশি যুবক তাপস মণ্ডল বুদ্ধি করে ‘ও’ পজিটিভ রক্ত চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদন জানান। সেই পোস্টই ম্যাজিকের কাজ করে।

তাপসের পোস্ট চোখে পড়ে ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাসের। সেই পোস্ট দেখা মাত্র নিজে ফোন করে রোগীর পরিবারকে জানান, তিনি রক্ত দেবেন। কারণ, তাঁরও ব্লাড গ্রুপ ‘ও’ পজিটিভ। এরপর মানবিক বিধায়ক সোজা চলে আসেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। রক্ত দেন তিনি। তাঁর দেওয়া রক্তে মাধবী নতুন জীবন ফিরে পান।

মানবিক বিধায়ক বলেন, “আমার রক্তের গ্রুপ ‘ও’ পজিটিভ। আমার মা নেই। হাসপাতালের বেডে মরণাপন্ন ওই মাকে বাঁচাতে রক্তদান করেছি। আমার রক্তে তাঁর প্রাণ বেঁচেছে জেনে ভাল খুব লাগছে।”

 

 

 

 

Previous articleত্রিনিদাদে রোহিতদের স্বাগত জানাতে হাজির ব্র‍্যাভো, ভিডিও পোস্ট বিসিসিআইয়ের
Next articleপ্রতারণার অভিযোগে কাঠগড়ায় নুসরত, ইডি-র কাছে অভিযোগ দায়ের